জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হালকা যানবাহনে ফিরছে উত্তরের মানুষ
রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন সাইদুল ইসলাম। ঈদের আগে সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ভাড়া নিয়ে স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে পাবনায় এসেছিলেন তিনি। অন্যরা আগেই ফিরে গেছেন। কোনো যানবাহন না পেয়ে এক হাজার টাকা ভাড়ায় ট্রাকে ওঠেন সাইদুল।
আজ বুধবার সকালে সাইদুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ট্রাকে যাত্রী পরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অতিরিক্ত আয়ের আশায় গাদাগাদি করে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ তোলা হচ্ছে ট্রাকে। কর্মস্থলে ফেরার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ বাড়তি ভাড়া দিয়ে ট্রাকে করোনার ঝুঁকি নিয়েই ফিরছেন। জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে, যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
ঢাকা সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হালকা যানবাহনে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষদের ফিরতে দেখা গেছে। ১৬ জেলার মানুষের গন্তব্য গাজীপুর, ঢাকা ও নারায়াণগঞ্জ।
করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ অনুযায়ী দূরপাল্লা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেন বাস চলাচল করতে না পারে সে জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের কাজীপুর এলাকা থেকে পুলিশ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ফিরিয়ে দেয়।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসিবুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজও সিরাজগঞ্জের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যাত্রীবাহী বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও মুভমেন্ট থামানো যায়নি। যারা ঈদের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছিলেন তারা ফিরছে। এদের সিংহভাগই কর্মস্থলে যোগ দেবেন। ফলে যাত্রীবাহী ট্রাকগুলো আমরা আটকে রাখতে পারছি না। মোটরসাইকেলে তিন জন যাতায়াত করছেন। বিভিন্ন পয়েন্টে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও মানুষ ফিরছে। আগামী রোববার পর্যন্ত এই অবস্থা থাকতে পারে।’
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাজাহান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ট্রাফিক আইন না মানায় প্রতিদিনই মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি একই থাকছে।’
Comments