প্রবাসে

রোজিনাকে নিয়ে সোচ্চার প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকরা

বিশ্বজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক সংগঠন

পেশাগত দায়িত্বে গিয়ে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের হেনস্তা-মামলা-কারাবাসের ঘটনা দেশের মতো প্রবাসেও বেশ তোলপাড় পড়েছে। এ নিয়ে  বিশ্বজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক-সংগঠক প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। প্রবাসের সাংবাদিক সংগঠনগুলো ওয়েবিনার, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সবার সোচ্চার কণ্ঠে দাবি রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি, সাজানো মামলা প্রত্যাহার এবং দোষীদের বিচার। একই সঙ্গে তারা সাংবাদিক সমাজকে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়ার নানা দেশের প্রবাসী সাংবাদিক সংগঠকরা দ্য ডেইলি স্টারের কাছেও এ নিয়ে তাদের ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানিয়েছে।

তাদের মতে, আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া একজন অনুসন্ধানী ও উদ্যমী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও সাজানো মামলায় জড়ানো গণতন্ত্র ও স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি, সরকারকে সাংবাদিক সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করোনোর গভীর যড়যন্ত্র।

তারা আরও জানিয়েছেন, রোজিনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়া কোন স্বার্থে তার অতীত প্রতিবেদনগুলো থেকেই প্রমাণ মেলে। কাজেই তাকে চুরি বা পাচারের তকমা লাগিয়ে জেলে পাঠানোর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুধু প্রবাসী সাংবাদিক সমাজই নয় সর্বস্তরের বাংলাদেশিদেরও মনে দাগ কেটেছে, প্রশ্ন জেগেছে, ক্ষোভ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে। তাই রোজিনার মুক্তির দাবি শুধু সাংবাদিকদের নয়, দেশের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে উদ্বিগ্ন ক্ষুদ্ধ প্রবাসী বাংলাদেশিরও দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে সরকার যে মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যমের নীতিতেই বিশ্বাসী, তা  প্রমাণে  দ্রুত রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।  সরকারি দলের কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা-মন্ত্রীর ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিতে রোজিনা ইসলাম ন্যায় বিচার পাবেন বলেও আশা করছেন প্রবাসী সাংবাদিকরা।

আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের (এবিপিসি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার বলেন, ‘আমাদের এখানে জাতির স্বার্থেই রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ স্বাধীন সংবাদমাধ্যম টিকিয়ে রাখে সরকার। অথচ স্বাধীন গণমাধ্যম সূচকে বিশ্বে  ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫২তম এবং  দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশে। আমাদের স্বাধীন করা প্রিয় স্বদেশে এখন রোজিনা ইসলামের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া অনুসন্ধানী ও সাহসী সাংবাদিককে কারাগারে যেতে হচ্ছে। প্রশ্ন একটাই রোজিনাকে কারাগারে নেওয়ার মধ্য দিয়ে কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হবে?

যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংবাদিক সংগঠন ইউকে-বাংলা প্রেসক্লাব আয়োজিত প্রতীকী কর্মবিরতি ও মানববন্ধনে নেতারা বলেছেন, ‘ঘটনাটি খুবই অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। একজন পেশাদার সাংবাদিককে সচিবালয়ে আটকে হেনস্তার পর মামলা দিয়ে হয়রানি পেশাদার সাংবাদিকতার ওপর বড় আঘাত। অনুসন্ধানী ও দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করাই এসবের উদ্দেশ্য।’

প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুনজের আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা রোজিনা ইসলামের হেনস্তা-গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংহতি প্রকাশ করেন।

এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক স্পেনপ্রবাসী সাংবাদিক বকুল খান বলেন, ‘শুধু স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর۔۔ আঘাত হেনেছে তাই নয়, পক্ষান্তরে আশ্রয়, প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি, লুটপাটের বরপুত্রদের।’

অন্যদিকে অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলজিয়ামপ্রবাসী সাংবাদিক ফারুক আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘আমরা  মনে করি দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ নিরাপদ স্থান হলো সচিবালয়। সেখানে একজন নারী সাংবাদিককে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক। রোজিনা ইসলামের প্রতি আগ্রাসী মনোভাবেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মুখোশ উন্মোচনে করা তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলোর সত্যতার প্রমাণ মেলে।’

অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি লেখক ও সাংবাদিকদের সংগঠন সিডনি প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আবদুল মতিন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি আক্রোশের প্রতিফলন এবং  অন্যায় ও অনভিপ্রেত।’

জার্মান বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটন বলেন, ‘তথ্য নিতে গিয়ে যদি সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার ও গ্রেপ্তার হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে ওই তথ্যে এমন কিছু আছে যা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও ব্যর্থতাই বেরিয়ে আসতো। তাই এ বিষয়ে সরকারের নিরপেক্ষ তদন্তে যাওয়া দরকার এবং তেমন কিছু পেলে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত।’

বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব মালয়েশিয়ার সিনিয়র সহসভাপতি আহমাদুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ফারুক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে উদ্বেগজনক, মুক্ত ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর চরম আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পেশাগত দায়িত্বে থাকা একজন সাংবাদিককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন ও অপদস্তের পর জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা প্রবাসী সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে, ভাবিয়ে তুলেছে।’

পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রনি মোহাম্মদ বলেন, ‘১০০ বছরের পুরানো অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ধারায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া একজন সাহসী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার শামিল। রোজিনা ইসলামকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী।

স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদুল সুহেদ বলেন, ‘সাহসী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর হামলা, মামলা একজন নারীর অবমাননা, সাংবাদিকের অবমাননা। এতে বাংলাদেশে বিপন্ন সাংবাদিকতার অবয়ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আমরা মনে করি দুর্নীতিতে জর্জরিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সীমাহীন লুটপাট ও কলঙ্কের মধ্যে এই নিকৃষ্টতম ঘটনা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি আক্রোশের প্রতিফলন।’ 

সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনির মতে, ‘পেশাগত দায়িত্বে গিয়ে হেনস্তা-গ্রেপ্তার অন্যায় ও অনভিপ্রেত।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই-এর নেতারা ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভায় বলেছেন, ‘দুর্নীতির আখড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের খবর প্রকাশ করে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম এ দেশের জনগণের উপকার করেছেন এবং সরকারকেও উৎস দেখিয়ে  সহায়তা করেছেন। পুরস্কৃত করার বদলে এমন নির্মম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এ নিয়ে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও ক্ষুদ্ধ ও উদ্বিগ্ন।’

সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান জনির পরিচালনায় আয়োজিত ক্লাব নেতারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা আয়ের টাকায় পরিবার নিয়ে সচ্ছলভাবে চলতে পারে না। অথচ সচিবালয়ে চাকুরদের অনেকে হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান। তাদের আয়ের উৎস নিয়ে সরকারিভাবে তদন্ত করা উচিত।

বাহরাইনের বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বশির আহমেদ বলেন, দেশের গুরত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের থেকে এ ধরনের নিপীড়ণমূলক এবং শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ নিঃসন্দেহে স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধাচারণ। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির ভয়াল ও অমানবিক চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরার কারণে রোজিনা ইসলামের মতো অকুতোভয় সাংবাদিককে এ ধরনের হেনস্তা করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বস্তরে ক্ষোভ ও ঘৃণায় জন্ম দিয়েছে।’

কাতার বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইএম আকাশ ও সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন বাচ্চু বলেছেন, ‘তথ্য বের করে এনেই স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম নিয়ে রোজিনা ইসলাম ধারাবাহিক অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন, যেখানে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিল। এখন তথ্য প্রাপ্তিকে চুরির আখ্যা দিয়ে একজন সৎ সাংবাদিককে চোর বানানোর চেষ্টা করছে দুর্নীতিবাজ চক্রটি। এমন ন্যাক্কারজনক আচরণ যে তার প্রতি ক্ষোভ থেকে করা সচিবালয়ের ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’

কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং নতুনদেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভায় বলেছেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে সচিবালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা আইনের শাসনের প্রতি চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। তাৎক্ষণিক আইনি পথে না গিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের সঙ্গে স্পষ্টত মাস্তানি করেছেন।’

কুয়েতের প্রবাসী সাংবাদিক সংগঠক, বাংলাদেশ টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ বলেছেন, ‘কোনো সাংবাদিক নিরপেক্ষ নাও হতে পারে, কারো সততা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু দেশের ক্ষতি হতে পারে এমন তথ্য প্রকাশ কিংবা পাচার আমাদের দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে নেই। বরং দেশের স্বার্থে সেলফ সেন্সরশিপের অনেক উদাহরণ আছে। রোজিনা ইসলামের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়া কোন স্বার্থে তার অতীত প্রতিবেদনগুলো থেকেই প্রমাণ মেলে। কাজেই তাকে চুরি বা পাচারের তকমা লাগিয়ে জেলে পাঠানোর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা মর্মাহত, শঙ্কিত, লজ্জিত।’

নিন্দা জানিয়ে লেবাননপ্রবাসী সাংবাদিক সংগঠক বাবু সাহা বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম তুলে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নীতিতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।সেখানে তার মতো একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের হাতে যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন তাতে আমরা বিস্মিত, ক্ষুব্ধ। আমরা মনে করি এ ঘটনায় বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশ সর্ম্পকে নেতিবাচক বার্তাই যাবে।’

চীন বাংলা প্রেসক্লাবের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের আইনের কঠোর ধারায় একজন পেশাদার  নামী সাংবাদিককে আটক কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাকে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর অসংলগ্ন কথা আমাদের পীড়া দিয়েছে। তবে সরকারি দলের কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা-মন্ত্রীর ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি আমাদের আশা জাগাচ্ছে।’

‘রোজিনা আপা আপনি হেরে যাননি। আপনি একজন সৎ ও দায়িত্বশীল সংবাদকর্মী। দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। পেশার দায়িত্বে ছাড়াও একজন সমাজ সংস্কারকেরও ভূমিকা রেখেছেন। আপনাকে যারা হয়রানি করেছে তারা যে দুর্নীতিবাজ তা নিজেরাই প্রমাণ করলো। দেশে-প্রবাসে সচেতন মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ আপনার কোনো ভয় নেই, আপনি মুক্ত হবেন, ন্যায় বিচার পাবেন,’ আমিরাতের প্রবাসী সংবাদকর্মী ইরফানুল ইসলামের ফেসবুক আবেগ।

এজাজ মাহমুদ: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago