এমবাপের নৈপুণ্যে টানা দ্বিতীয় ফরাসি কাপ পিএসজির

ছবি: সংগৃহীত

দলের হয়ে গোল করলেন একটি, করালেন আরেকটি। পার্থক্যটা গড়ে দিলেন কিলিয়েন এমবাপেই। আর তার নৈপুণ্যে মোনাকোকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ফরাসি কাপ জিতল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

বুধবার রাতে স্তাদে দি ফ্রান্সে মোনাকোকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মাউরো ইকার্দি। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। তাতেই ১৪তম ফরাসি কাপ ঘরে তোলে পিএসজি।

অথচ দুঃসংবাদ নিয়েই ম্যাচটা শুরু করেছিল দলটি। নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের সেরা তারকা নেইমারকে ছাড়া খেলতে হয়েছে তাদের। অলিম্পিক কমিটির কাছে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেও লাভ হয়নি। মাঝ মাঠের বিশ্বস্ত খেলোয়াড় মার্কো ভেরাত্তিও ছিলেন না ইনজুরির কারণে। হুয়ান বেরনাতও ছিলেন না একই কারণে। তবে দলের সেরা তারকাদের ছাড়াও জয় তুলে নিতে সমস্যা হয়নি পিএসজির। যদিও তাদের অভাবটা দেখা দিয়েছে পুরো ম্যাচ জুড়েই।

আর এ হারে অপেক্ষা বাড়ল মোনাকোর। সবশেষ ১৯৯১ সালে শিরোপা জিতেছিল দলটি। আর শেষবার ফাইনালে খেলেছিল ২০১০ সালে। সেবারও পিএসজির বিপক্ষেই হেরেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে গোল করার মতো বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল মোনাকো। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের দুর্বলতায় তা গোলে পরিণত হয়নি। মাঝ মাঠের দখল নিজেদের কাছে বেশি না রাখতে পারলেও ১২টি শট নিয়েছিল তারা। তার ১টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে পিএসজি ৭টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ৩টি। 

ম্যাচের ১৯তম মিনিটে মোনাকো ডিফেন্ডার আক্সেল দিসাসির ভুলে গোল পেয়ে যায় পিএসজি। অনেকটা ফাঁকায় গোলকিপারকে একা পেয়ে যান এমবাপে। তবে গোলরক্ষক এগিয়ে এসে জায়গা ছোট করে ফেললে গোল নিশ্চিত করতে ডান প্রান্তে ইকার্দিকে পাস দেন এ তরুণ। ফাঁকায় বল পেয়ে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি এ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের।

৮২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। আনহেল দি মারিয়ার নিখুঁত পাস থেকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তবে গোল পেতে পারতেন এ দুই মিনিট আগেই। তার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

2h ago