নিয়মিত গোলরক্ষক ছাড়া খেলেই জিতল রিভারপ্লেট
অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। করোনাভাইরাসের আক্রান্ত দলের ২০ জন খেলোয়াড়! দল সাজানো নিয়েই বড় সমস্যা। টেনেটুনে কোনো মতে ১১ জনের একটি একাদশ দ্বার করানো হলো। তাতেই দেখা গেল বিপত্তি। একাদশে নেই কোনো নিয়মিত কোনো গোলরক্ষক। অগত্যা ইনজুরি আক্রান্ত মাঝমাঠের এক খেলোয়াড়কে গ্লাভস হাতে নামতে হলো। তাই নিয়েই জিতল রিভারপ্লেট।
বুধবার লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খ্যাত প্রতিযোগিতা কোপা লিবার্তাদোরেসের ম্যাচে সান্তা ফে'কে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রিভারপ্লেট। ম্যাচের প্রথম ছয় মিনিটেই দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় আর্জেন্টাইন দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করতে পারলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি কলম্বিয়ান ক্লাব সান্তা ফে।
ম্যাচটি নিয়ে বড় দুর্ভাবনায় ছিল রিভারপ্লেট। দলের ২০ জন খেলোয়াড় করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ায় ম্যাচটি পিছিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছিল দলটি। মাত্র ১০ জন খেলোয়াড় ছিল সুস্থ। এমনকি যুব দল থেকে দুই জন গোলরক্ষক অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি চেয়েছিল তারা। কিন্তু তাদের কোনো অনুরোধই পাত্তা দেয়নি কনমেবল। ফলে বাধ্য হয়েই মাঠে নামতে হয় তাদের।
তবে ভাগ্য সঙ্গেই ছিল তাদের। সান্তা ফের মূল একাদশের পাঁচ জন খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিপক্ষেরও শক্তি কমে আসে। কিন্তু নিজেদের স্কোয়াডের চার গোলরক্ষকের সবাই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বড় সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল দলটি। কারণ আক্রমণ ঠেকাতে গোলবারে বিশ্বস্ত কেউ না থাকলে কাজটা খুব কঠিন হয়ে যায় যে কোনো দলের জন্য।
কোনো উপায় না পেয়ে ৩৫ বছর বয়সী মিডফিল্ডার এনজো পেরেজকে গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পেরেজও যে সুস্থ ছিলেন তাও নয়। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে জোড়ে দৌড়াতে পারবেন না বলেই তাকে গোলরক্ষকের দায়িত্ব দেন দলের ম্যানেজার মার্সেলো গালার্দো। মজার ব্যাপার, চারটি মূল্যবান সেভও করেছেন পেরেজ। যদিও ডিফেন্ডাররাই তার কাজ সহজ করে দেন। খুব বেশি পরীক্ষা দিতে হয়নি তাকে।
Comments