নারায়ণগঞ্জে নাশকতার মামলায় কারাবন্দী হেফাজত নেতার মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নাশকতার মামলায় কারাবন্দী হেফাজত ইসলামের নেতা ইকবাল হোসেন (৬০) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ইকবাল হোসেন সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সদস্য ও খেলাফত মজলিস সোনারগাঁও থানার সভাপতি ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকবাল হোসেন মারা গেছেন। গত ১৫ মে থেকে তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ইকবাল হোসেনের হার্টে ও পেটে সমস্যা ছিল। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মাহবুবুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সোনারগাঁওয়ে হেফাজতের নাশকতার তিন মামলায় গত ১২ এপ্রিল ইকবাল হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর মধ্যে তিন মামলায় দুই বার তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত ৫ মে তিনি প্রথম অসুস্থ হন। ওইদিন তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে ১১ মে আবারও অসুস্থ হলে জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
গত ৩ এপ্রিল বিকেলে সোনারগাঁওয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালায়। একদল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাঁশ, কাঠে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। রাত পৌনে ৯টায় পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে সরিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানার পুলিশ বাদি হয়ে দুটি ও স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঢাকার জুরাইন রেললাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইকবাল হোসেনসহ হেফাজতে ইসলামের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)।
Comments