সু চির দল এনএলডির নিবন্ধন বাতিল করতে চায় সামরিক সরকার

মিয়ানমারের সামরিক সরকার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নিবন্ধন বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছে।
NLD.jpg
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের সামরিক সরকার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নিবন্ধন বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছে।

আজ শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও এক কমিশনারকে উদ্ধৃত করে জানায়, নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির জন্য দলটির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে এনএলডিসহ অনেক দল এ সিদ্ধান্ত বর্জন করেছে।

রয়টার্স জানায়, নভেম্বরের নির্বাচনে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসে সু চির দল এনএলডি। দলটি নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছে এমন অভিযোগ তুলে সেনা অভ্যুত্থানকে ন্যায্যতা দিতে চাইছে সেনাবাহিনী। তবে নির্বাচনে জালিয়াতির সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচন কমিশন।

সেনা সরকার সমর্থিত ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনের (ইউইসি) চেয়ারম্যান থেইন সোয় জানান, নভেম্বরে এনএলডি পরিচালিত নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। তাদের সরকার অবৈধ ছিল। সুতরাং আমাদেরকে দলটির নিবন্ধন বিলুপ্ত করতে হবে।

থেইন সোয় আরও জানান, যারা নির্বাচনী জালিয়াতি করেছে তাদের ‘বিশ্বাসঘাতক হিসেবে বিবেচনা করা হবে’ এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সংহতি ও উন্নয়ন দলের এক মুখপাত্র জানান, বৈঠকে তাদের দলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন।

১৯৮৮ সালে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় সামরিক শাসনবিরোধী নেতাদের নিয়ে এনএলডি গঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই দলটি জয়ী হয়েছে।

মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা অং সান সু চি কয়েক দশক ধরে দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়েছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর তাকে আটক করা হয়েছে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর নোবেল বিজয়ী সু চির নামে দুটি আদালতে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে উপনিবেশিক যুগের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে সবচেয়ে গুরুতর মামলাটি হয়েছে, যেটি প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এপিপিপি) জানায়, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটশরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও, সাংবাদিকসহ অনেককেই আটক করা হয়েছে।

সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ও জাতিগত সংখ্যালঘু গেরিলা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে।

মিয়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ও পশ্চিমা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ জানালেও দেশটিতে ক্ষমতাসীন সেনা কর্মকর্তারা গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকর্মীদের সঙ্গে সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত দেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago