প্রবাসে

টোকিওর ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ও নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন জাপানে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের বহু সংখ্যক মুসলিম নাগরিক। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতিও প্রকাশ করেন।
Tokyo.jpg
টোকিওতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে ‘জাপান মুসলিম কমিউনিটির’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়। ছবি: স্টার

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ও নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন জাপানে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের বহু সংখ্যক মুসলিম নাগরিক। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতিও প্রকাশ করেন।

আজ শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে ‘জাপান মুসলিম কমিউনিটির’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়।

জাপান পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম প্রবাসীরা ফিলিস্তিন ও নিজেদের দেশের পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভে সংহতি জানান।

সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন জানান।

দু’দেশের সম্মতিতে এর আগের রাতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হলেও বিক্ষোভ সমাবেশে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ছিল। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বহু প্রবাসী মুসলিম সেখানে উপস্থিত হন।

বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে ‘আল-আকসা মসজিদের জন্য জীবন উৎসর্গ’ করতেও প্রস্তুত আছেন বলে ঘোষণা দেন।

বিভিন্ন ভাষায় ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ লেখা পতাকা হাতে নিয়ে ‘ইন্তিফাদা বা গণজাগরণ দীর্ঘজীবী হোক’ বলে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি’ লেখা ছাড়াও নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন তারা।

সমাবেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে বক্তারা বলেন, গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে ক্লান্ত, তখন অবৈধ দখলদার ইসরায়েল পবিত্র রমজানের মধ্যে আবারও দানবীয় রূপে হাজির হয়েছে। মুসলিমরা যখন ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল তখন এই নারকীয় হামলা চালিয়ে শত শত নিরীহ জনগণকে হত্যা করে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর এই হত্যাযজ্ঞে সমর্থন করে অ্যামেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ।

বিক্ষোভ সমাবেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় অধিবাসী, প্রবাসী মিডিয়া ও বিশ্ব গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি ছিল।

এর আগে, গত ১৪ মে ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে জাপানের টোকিওতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

EC asks home ministry to transfer OCs

The Election Commission has asked the home ministry to transfer all officers-in-charge discharging duties at their respective police stations for over six months

1h ago