শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ

ফেরিতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরি পার হচ্ছেন মানুষ। ছবিটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে আজ বিকেল চারটার দিকে তোলা। ছবি: সাজ্জাদ হোসাইন

শনিবার থেকে অফিস শুরু হচ্ছে অনেকের। তাই আগের দিন কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া মানুষ।

আজ শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে দেখা গেছে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

ভোর থেকে আসা যাত্রীদের বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি পেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে যাত্রীর চাপ।

গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ কর্মস্থলে ফেরা মানুষের সংখ্যাও ছিল বেশি। ফেরিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে পার গতে দেখা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে শিমুলিয়াঘাট থেকে খালি ফেরি পাঠিয়ে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শুধু যাত্রীদের পার করা হয়েছে। শুক্রবার এই নৌপথে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করেছে।

চয়ন সরকার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘শনিবার থেকে অফিসে যোগ দিতে হবে। তাই ঈদের ছুটি কাটানো শেষে এখন কর্মস্থলে ফিরছি।’

তিনি জানান, গোপালগঞ্জ সদর থেকে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে ফেরির জন্য দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। প্রচণ্ড রোদে হাজারো যাত্রীর সঙ্গে গাদাগাদি করে প্রায় দেড় ঘণ্টায় শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছান। যাবেন ঢাকার গুলশান-২ এলাকায়।

এছাড়া মো. মহিউদ্দিন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘ফেরিতে ওঠার সময় অনেক যাত্রীর হুড়োহুড়িতে অল্পের জন্য পানিতে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে আসতে জনপ্রতি ভাড়া ১২০ টাকা হলেও ৬০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এখন শিমুলিয়াঘাট থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকা যেতে ৪০০-৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। ঢাকার পান্থপথ যাব একটা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে। এখন ঘুরেফিরে দেখি কমে যেতে পারি কি না।’

মো. জসিম নামে এক যাত্রী জানান, শিমুলিয়াঘাট থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সিএনজি, অটোরিকশা, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেল এবং কয়েকটি বাস আছে। তবে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘ফেরিতে সারাদিন যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এ জন্য বেশ কয়েকটি ফেরিতে শুধু যাত্রী পার করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়িও পার করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, বিকেল ৪টায় শিমুলিয়াঘাটে পারের অপেক্ষায় ছিল ৫০টি প্রাইভেটকার এবং তিন শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে যাত্রীদের আগে পার করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

‘There’s no fish there’

Fishermen in Bhola borrow to celebrate Eid amid Hilsa crisis

1h ago