সুরক্ষা বলয় নিয়ে আরও সতর্ক হবে বিসিবি
ম্যাচের আগের দিন টাইটেল স্পন্সরশীপ প্রকাশের অনুষ্ঠানে আসা কয়েকজন অতিথিকে দেখা গেল ড্রেসিং রুমের সামনে সেলফি তুলছেন। মিনিট দশেক পর নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, এই ঘটনা তিনি জানতেন না। তবে শ্রীলঙ্কার একজন খেলোয়াড় কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর সুরক্ষা বলয় নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রোববার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম ওয়ানডের আগে খবর আসে লঙ্কান শিবিরে তিনজন কোভিড-১৯ পজিটিভ। পরে জানা যায় দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে বোলিং কোচ চামিন্দা ভাস ও পেসার ইশুরু উদানার।
কিন্তু পজিটিভ থেকে যান আরেক পেসার শিরান ফার্নেন্দো। তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আর আইসোলেশন মুক্ত হয়ে উদানা ম্যাচেও খেলতে নেমেছেন।
ম্যাচের বিরতিতে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে বোর্ড সভাপতি বলেন, আইসিসির প্রোটোকলেই এসব পরিস্থিতির করণীয় বলা আছে। সেভাবেই সব এগিয়ে নিচ্ছেন তারা, ‘আইসিসি প্রটোকলে সব কিছু লেখা আছে। কেউ যদি পজিটিভ হয় তখন তার কোয়ারেন্টিন না, আইসোলেশন লাগবে। যদি ডাক্তার দেখাতে হয় কে দায়িত্ব নেবে। সমস্ত কিছু প্রটোকল করা আছে।’
‘প্রথমে শ্রীলঙ্কার তিনজনের পজিটিভ এসেছিল। পরের আরেক টেস্টে দুজনের নেগেটিভ এসেছে। একজন পজিটিভ আছে। আমাদের যে জৈব সুরক্ষা বলয় আছে সেখানে নেগেটিভ কারো গিয়ে পজিটিভ হওয়া কঠিন। আমরা মনে করি যে হওয়ার সুযোগ নাই। তারপরও হতে পারে।’
পজিটিভ থাকা শিরান ১৫-১৬ দিন আগে করোনা থেকে সেরে উঠেন। বিসিবি সভাপতির ধারণা শরীরে মৃত কোষ রয়ে যাওয়ায় পরীক্ষায় পজিটিভ আসতে পারে তার, ‘যে একজনের পজিটিভ এসেছে। আমাদের ধারণা যেহেতু কিছুদিন আগে সে করোনা থেকে সেরে উঠেছে, তার ডেড আরএনএ ডিটেক্ট করেছে হয়ত পিসিআর। অনেক সময় কিন্তু ২৮ দিন পর্যন্ত পাওয়া যায় (শরীরের ভেতরে করোনা)। এজন্য আবার আমরা পরীক্ষা করতে পাঠিয়েছি।’
‘একই ব্যাপার হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের বেলায়। এখানে বাবলে ঢুকতে গিয়ে দুটি টেস্টের মধ্যে প্রথমটিতে তার নেগেটিভ আসে। পরেরটি পজিটিভ আসে। সে বলে আমার তো কোন উপসর্গ নাই। আরেকটি টেস্টে দেখা গেল সে নেগেটিভ।’
নাজমুলের কথার একইও সুর পাওয়া যায় শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার মানুজা কারিয়াপেরুমার কন্ঠেও, 'এটা প্রশংসনীয়, দুই বোর্ডের পারস্পরিক সম্পর্ক দারুণ। কোনো কিছু যদি থাকেও, আমরা এক হয়ে ঠিকঠাক করে ফেলি। কোনো সমস্যাই তাই নেই। দুই বোর্ডের বোঝাপড়া দুর্দান্ত। হ্যাঁ, আমাদের দুজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের একজন সদস্য পজিটিভ হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় পরীক্ষায় দুজনের নেগেটিভ আসে। এই ব্যাপারগুলি হয়ই। ফলস পজিটিভ বলে একটি ব্যাপার আছে, এখানেও তেমন কিছু হয়ে থাকতে পারে।'
ম্যাচের আগের দিন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কয়েজনের ড্রেসিং রুমের সামনে গিয়ে সেলফি তোলার ঘটনা অবহিত করলে এই প্রতিবেদককে বোর্ড প্রধান বলেন, ‘তাই? আমি এটা জানি না, খোঁজ নিব। অবশ্যই আমরা আরও সতর্ক হবো।’
Comments