করোনাকালেও দেশে খাদ্যসংকট হয়নি: কৃষিমন্ত্রী

দেশে খাদ্যের ভালো উৎপাদন হওয়ায় করোনাকালেও খাদ্যসংকট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

দেশে খাদ্যের ভালো উৎপাদন হওয়ায় করোনাকালেও খাদ্যসংকট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে খাদ্যে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ সেটা প্রমাণ হয়েছে। একদিকে গত আউশ আমনে চালের ফলন ভাল হয়নি; অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রয়োজনীয় চাল নানা কারণে আমদানি করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া, সবাই ধারণা করেছিলেন, করোনা মহামারির কারণে অর্থনৈতিক মন্দা ও স্থবিরতায় বাংলাদেশে চরম খাদ্যসংকট দেখা দিবে; হয়তো দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। কিন্তু, নিজস্ব উৎপাদন ভালো হওয়াতেই বাংলাদেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হয়নি, সংকট হয়নি।’

আজ রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তবে চালের দাম কিছুটা বেশি থাকায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত আউশ আমনে বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেশি ছিল; স্বল্প আয়ের, সাধারণ মানুষের কিছুটা কষ্ট হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারি সত্ত্বেও দেশে এমনটা হয়নি যে, দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে, বাজারে গিয়ে চাল পাওয়া যায়নি। দেশে চালের উৎপাদন ভাল হওয়াতেই খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়নি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলাম চালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদেরকে প্রদান করা হয়েছে। ফলে, গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।  এছাড়া, প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। বর্ধিত এরিয়া ও হাইব্রিডের চাষ দুটি মিলে আমরা আশা করছি গত বছরের তুলনায়  ১০-১২ লাখ টন চাল উৎপাদন বেশি হবে। মাঠ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি তাতেও দেখছি চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছে, তারা খুশি। ধানের দামও ভালো। আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৯৬ লাখ টন।

বন্যা না হলে এবার আউশেরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এছাড়া আগামী আমনে উৎপাদন বৃদ্ধিতেও পূর্বপ্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৫৯ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪৯ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago