সাকিবের ১০০০তম উইকেটের পর মিরাজের ভেলকি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ৯৯৯ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি বোলিং আক্রমণে আসেন ইনিংসের ১৭তম ওভারে। সে ওভারে না হলেও ১০০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছাতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই কুসল মেন্ডিসকে বিদায় করে দারুণ এক কীর্তি গড়েন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার।

যে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি সফল সাকিব, সেই প্রিয় ভেন্যুতেই মাইলফলক ছুঁলেন সাকিব। রবিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আরও এক দফা ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান তিনি। বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার উইকেটের নজির স্থাপন করেন তিনি। তার আগে এই কীর্তি ছিল কেবল সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের (১১৪৫ উইকেট)।

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে (প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে) সাকিবের ১০০০তম শিকার মেন্ডিস। ড্রাইভ করতে গিয়ে গড়বড় করে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার সংগ্রহ ৩৬ বলে ২৪ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তিনি সাকিবের ৩২৮তম শিকার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই বাঁহাতি ঘূর্ণি বোলারের উইকেট ৩৬২টি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তিনি দখল করেছেন ৩১০ উইকেট।

মেন্ডিসের বিদায়ে ভাঙে তার সঙ্গে অধিনায়ক কুসল পেরেরার ৪১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। এরপর শ্রীলঙ্কার ইনিংসে মড়ক লাগান অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ছুঁড়ে দেওয়া ‘ধাঁধাঁ’গুলোর উত্তর যেন জানা নেই লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। তিনি একে একে ফেরান পেরেরা (৫০ বলে ৩০ রান), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১৫ বলে ৯ রান) ও আশেন বান্দারাকে (২৪ বলে ৩ রান)। ফলে মাত্র ৩০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে লঙ্কানরা। এতে বাংলাদেশ পাচ্ছে জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুবাস।

এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ২৫৮ রানের লক্ষ্যে নামা শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১১১ রান। ক্রিজে আছেন দাসুন শানাকা ১৪ বলে ৪ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩ বলে ৮ রানে। জয়ের জন্য ২১ ওভারে তাদের দরকার আরও ১৪৭ রান।

এর আগে শুরুতেই মিরাজের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অন্যপ্রান্তে পেসার তাসকিন আহমেদ মার খেলেও মিরাজ নতুন বলে দারুণ করেন। তার হাত ধরেই প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তিনি ফিরতি ক্যাচ নিয়ে সাজঘরে পাঠান দ্রুত রান তুলতে থাকা দানুস্কা গুনাথিলাকাকে। সবমিলিয়ে ৯ ওভারে ২২ রানে মিরাজের শিকার ৪ উইকেট।

তিনে নামা পাথুম নিসানকাকে টিকতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের অষ্টম ওভারে টাইমিংয়ে গোল পাকিয়ে তিনি ক্যাচ তোলেন মিড-উইকেটে। বল লুফে নেওয়ার বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন আফিফ হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Produce 10 ex-ministers, 2 advisers to Hasina before tribunal on Nov 18: ICT

They will be shown arrested in case filed over crimes against humanity, genocide, says prosecutor

27m ago