ফরিদপুরে বিকাশ প্রতারক চক্রের ১১ সদস্য গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে পুলিশের দুটি পৃথক অভিযানে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি মুঠোফোন ও ৫৮টি সিম উদ্ধার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) জামাল পাশা।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ভাঙ্গা উপজেলার পল্লীবেড়া অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন- ফিরোজ বেপারী (৩৩), রায়হান বেপারী (১৯), আকাশ বেপারী (২২), কাউলীবেড়া গ্রামের সাকিব ফকির (২০)। এসময় এদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ১৬টি মুঠোফোন ও ৪৫টি সিম উদ্ধার করা হয়।
রাত পৌনে ২টার দিকে পুলিশের আরেকটি দল একই উপজেলার মিয়াপাড়া গ্রাম অভিযান চালিয়ে ফারুক শেখ (২৭), ওবায়দুর সিকদার (৩৫), মো. ইব্রাহীম মীর (২২), মো. রাসেল তালুকদার (২১) হানিফ মীর (৪৫), মো. ছিদ্দিক মোল্লা (২৮) ও আবু হানিফ খন্দকারকে (২২) গ্রেপ্তার করে।
এ সময় বিকাশ প্রতারণায় ব্যবহৃত ১৬টি মুঠোফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৩টি সিম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ‘এ চক্রটি নিজেদের বিকাশ কোম্পানির লোক পরিচয় দিয়ে বিকাশ একাউন্টধারীদের ফোন দিয়ে কৌশলে তাদের পিন নম্বর জেনে টাকা আত্মসাৎ করে আসছি। তাদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়েছে।’
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওই ১১ জনের প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত আগামী মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের জেল-হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
Comments