কঠিন উইকেট, বিরূপ কন্ডিশন বলেই স্বস্তি বেশি মুশফিকের

Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রচণ্ড তাপদাহের জন্য কন্ডিশন ছিল বিরূপ, উইকেটে অসমান গতি থাকায় ব্যাটসম্যানদের কাজটাও সহজ ছিল না। এমন প্রতিকূলতার মধ্যে দলের বিপর্যয়ে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট হয়েছে আবারও চওড়া। দারুণ এক ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়ে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার জানালেন, প্রতিকূলতার মধ্যে নিজের কাজটা করতে পারার বেশি স্বস্তি তার।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকের ৮৭ বলে ৮৪ রানে ২৫৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় বিপর্যয়ে পড়া শ্রীলঙ্কা ওয়েইন্দু হাসারাঙ্গার বিস্ফোরক ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েও কুলিয়ে উঠতে পারেনি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ৩৩ রানে।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মন্তর ইনিংস খেলে সাকিব আল হাসানও বিদায় নিলে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি পান মুশফিক। ৭০ বলে ৫২ করে তামিম ফিরে যাওয়ার পর পথ হারায় বাংলাদেশের ইনিংস। এসেই বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে এরপর ১০৯ রানের জুটিতে দলকে পথে ফেরান মুশফিক। ম্যাচ শেষে এই কিপার ব্যাটসম্যান বললেন এদিন উৎরাতে হয়েছে অনেক একাধিক প্রতিকূলতা,  ‘ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট খুব সহজ নয়। শুরুতে লিটন ও সাকিবকে হারিয়ে আরা একটু চাপে ছিলাম। তবে তামিম সেই সময় খুব ভালো ব্যাট করেছে, যে কারণে আমি সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি। রিয়াদ ভাইও খুব ভালো ব্যাট করেছেন। সব মিলিয়ে এটা ভালো ম্যাচ ছিল, কারণ লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি।’

রোববার ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গরম অনুভূত হয়েছে প্রায় ৪৫ ডিগ্রির মতো। প্রচণ্ড তাপে মাঠে খেলা ছিল আরও কঠিন, মুশফিকের পথে পরিস্থিতি ছিল না একেবারে আদর্শ,  ‘এটা ক্রিকেটের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয়, সত্যি বলতে। শুধু গরমই নয়, ভেতর থেক অনেক কিছুই শুষে নেয় এটা। প্রচণ্ড হিউমিড, অনেক ঘাম ঝরে। প্রতিটি বলে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। তবে আমাদের ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব, তারা খুব ভালো সামলেছে। বিশেষ করে বোলাররা। মিরাজ অসাধারণ ছিল, মুস্তাফিজ ও সাকিবও সঙ্গ দিয়েছে তাকে।’

এই গরমেও ৮৪ রান করতে বাউন্ডারি থেকে কেবল ২২ রান করেন মুশফিক (৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কা)। অর্থাৎ দৌড়ে  প্রচুর রান নিতে হয়েছে তাকে। শরীরের উপর গিয়েছে বাড়তি ধকল। মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা জানালেন, পেশাবহুল ক্রিকেটার না হওয়ায় দৌড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না তার,  ‘আই অ্যাম নট আ বিগ গাই। সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না আমি। আমি পোলার্ড বা রাসেল নই। আমি নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি। কন্ডিশনও আমাকে সুযোগ দেয়নি খুব বেশি বাউন্ডারি মারার। আমি তাই সময় নিয়েছি, আস্তে আস্তে রান বাড়িয়েছি। একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতেও হতো আমাকে। সেটা আমি করেছি। রিয়াদ ভাইও সঙ্গ দিয়েছেন। আফিফ ও সাইফের ফিনিশং টাচ ছিল দুর্দান্ত।’

Comments

The Daily Star  | English
Eid-ul-Azha 2025

Main Eid congregation held at National Eidgah

With due religious solemnity and fervour, the main congregation of Eid-ul-Azha was held at the National Eidgah.

1h ago