চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাস ও মিলান
ম্যাচের বয়স তখন এক ঘণ্টা পেরিয়েছে। বলোনিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে জুভেন্টাস। ঠিক সে সময়েই আমির রাহমানির গোলে হেলাস ভেরোনার বিপক্ষে এগিয়ে যায় নাপোলি। তুরিনে তখন যেন অন্ধকার নেমে এসেছিল। হালের অন্যতম সেরা দলটি তখন ইউরোপা লিগে খেলা শঙ্কা। তবে নয় মিনিট পরই গোল হজম করে বসে নেপোলিয়ানরা। উল্লাসে মাতে ওল্ড লেডিরা।
আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিতে হলে জিততে তো হবেই, সঙ্গে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। প্রার্থনা করতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পয়েন্ট খোয়ানোর। এমন সমীকরণ নিয়েই বোলোনিয়ার মাঠে নেমেছিল জুভেন্টাস। ভাগ্যটা তাদের সঙ্গেই ছিল। নিজেরা জয় তো পেয়েছেই, সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে নাপোলিও। নানা নাটকীয়তা শেষে সেরা চার নিশ্চিত করেই মৌসুম শেষ করল তুরিনের দলটি।
প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে বোলোনিয়াকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত করে জুভেন্টাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের সঙ্গী হিয়েছে এসি মিলান। আগেই শেষ চার নিশ্চিত করা আতালান্তার মাঠে ২-০ গোলের জয় তুলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে আসর শেষ করে দলটি। তবে হালাস ভেরোনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে নাপোলি।
৩৮ রাউন্ড শেষে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে মিলান। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় হয়েছে আতালান্তা। সেরা চারে থাকা জুভেন্টাসের পয়েন্টও ৭৮। তবে গোল ব্যবধান ও হেড টু হেডে পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তুরিনের দলটিকে। আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৯১।
অথচ মৌসুমের মাঝ পথ থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে বড় শঙ্কা তৈরি হয় জুভেন্টাসের। তবে আগের রাউন্ডে সিরি আর নতুন চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের বিপক্ষে জয়েই যেন ভাগ্য সঙ্গ দেয় তাদের। সে ধারায় এদিন সব সমীকরণই মিলে যায় তাদের।
এদিন দলের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল জুভেন্টাস। তাতে কোনো সমস্যাতেই পড়েনি দলটি। উল্টো শুরু থেকেই দারুণ গোছানো ফুটবল। ষষ্ঠ মিনিটেই দলের তরুণ তারকা ফেদেরিকো চেইসার গোলে এগিয়ে যায় দলটি।
২৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারো মোরাতা। আর প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে আদ্রিয়ান রাবিউতের গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় দলটি। ফলে ৩-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দলটি।
বিরতির পরও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে জুভেন্টাস। দুই মিনিট না যেতেই নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন মোরাতা। এরপর ৮৫তম মিনিটে অবশ্য রিকার্দো ওরসোলিনির গোলে কিছুটা সান্ত্বনা পায় বোলোনিয়া।
অপর ম্যাচে আতালান্তার মাঠে দারুণ জয় পেয়েছে মিলান। তাতে স্বাগতিকদের পেছনে ফেলে রানার্স আপ হয় দলটি। দুটি গোলই অবশ্য আসে পেনাল্টি থেকে। ফ্রাঙ্ক কেসির সফল স্পটকিকে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
Comments