ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়ন লিল, জিতেও পারল না পিএসজি

ছবি: টুইটার

নিজেদের ম্যাচে জেতাটা যথেষ্ট হয়নি প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) জন্য। কারণ, আগে থেকে শীর্ষে থাকা লিলও তাদের ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। পিএসজিকে পেছনে ফেলে তারা ঘরে তুলেছে ফরাসি লিগের শিরোপা।

রবিবার রাতে আসরের ২০২০-২১ মৌসুমের শেষদিনে অজিঁর মাঠে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিল। ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এটি লিলের চতুর্থ শিরোপা। সবশেষ ২০১০-১১ মৌসুমে সেরার মুকুট জিতেছিল তারা। ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দলের পক্ষে প্রথমার্ধে একটি করে গোল করেন জোনাথান ডেভিড ও বুরাক ইলমাজ। স্বাগতিকদের হয়ে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান কমান অ্যাঞ্জেলো ফুলগিনি।

রাতের আরেক ম্যাচে বাহেস্তকে তাদের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। প্রথমার্ধে রোমাইন ফেইভ্রের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়া মরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যদের পক্ষে বিরতির পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের দিতে হয়েছে মৌসুমের শুরুর দিকের বাজে ফলগুলোর খেসারত। মাত্র এক পয়েন্টের ব্যবধানে তারা হয়েছে দ্বিতীয়।

৩৮ ম্যাচে লিলের অর্জন ৮৩ পয়েন্ট। পিএসজির নামের পাশে রয়েছে ৮২ পয়েন্ট। ফরাসি লিগ থেকে আগামী মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে মোনাকোরও। তারা ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে।

মোনাকো লেন্সের মাঠে করেছে গোলশূন্য ড্র। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পেতে তাদেরকে পেরোতে হবে বাছাইপর্বের বাধা। ঘরের মাঠে নিসের কাছে হেরে কপাল পুড়েছে অলিম্পিক লিওঁর। তারা ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হওয়ায় পরেরবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না  

শুরু থেকে চালকের আসনে থাকা পিএসজি ১৯তম মিনিটে পেনাল্টি পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ফেইভ্রে ডি-বক্সে আনহেল দি মারিয়াকে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের দুর্বল শট চলে যায় যায় পোস্টের বাইরে।

৩৭তম মিনিটে দি মারিয়ার কর্নার থেকে লিড নেয় সফরকারীরা। এই আর্জেন্টাইনের সেট-পিসে ফেইভ্রের গায়ে বল লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। বাহেস্তের গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও বল আটকাতে পারেননি। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় প্যারিসিয়ানরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে পিএসজি। স্বাগতিকরাও একেবারে ছেড়ে কথা বলেনি। গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দৃঢ়তায় গোল হজম করেনি পিএসজি। তবে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর ৭১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এমবাপে।

দি মারিয়ার লম্বা করে বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করতে পোস্ট ছেড়ে ডি-বক্সের বাইরে এসেছিলেন বাহেস্তের গোলরক্ষক। কিন্তু গড়বড় করে ফেলেন তিনি। এরপর ডি-বক্সে ঢুকে ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ধাক্কায় পড়ে গেলেও তৎক্ষণাৎ নিয়ন্ত্রণে ফিরে বল পাঠিয়ে দেন জালে। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ২৭তম গোল।

Comments

The Daily Star  | English

CEC urges officials to ensure neutrality as polls preparations advance

He reiterates that the commission is advancing steadily with election preparations

1h ago