আগামী বাজেটে কর ছাড় পেতে পারেন নারী উদ্যোক্তারা
আগামী বাজেটে ব্যবসায় আয়করে ছাড় পেতে পারেন নারী উদ্যোক্তারা। বর্তমানে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক লেনদেনে কর ছাড় পেলেও, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক লেনদেনে কর ছাড় পেতে পারেন তারা।
অর্থাৎ, কোনো নারী উদ্যোক্তার ব্যবসায় যদি বছরে ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়, তাহলে তাকে কোনো নূন্যতম কর দিতে হবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তা পরিচালিত ব্যবসার জন্য আমাদের আলাদা টার্নওভার কর হার নেই। কিন্তু, তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি। তাই, আমরা বার্ষিক লেনদেনে আয়করের নতুন একটি সীমা নির্ধারণের কথা ভাবছি।’
তিনি জানান, বর্তমানে নারীদের জন্য পৃথক একটি করমুক্ত আয়সীমা আছে। বার্ষিক আয় সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত হলে নারী উদ্যোক্তারা করমুক্ত থাকতে পারেন। পরবর্তী অর্থবছরেও তাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা একই থাকতে পারে।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কর ছাড়ের উদ্যোগটি এমন একটি সময় নেওয়া হলো, যখন গত তিন দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে বাড়তে থাকা মধ্যবিত্তদের চাহিদা মেটাতে নারীদের মাঝে ব্যবসার আগ্রহ বাড়ছে।
এ ছাড়া, ট্রান্সজেন্ডারদের চাকরি দিতে ব্যবসাগুলোকে উৎসাহ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ট্রান্সজেন্ডারদের মূলধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করা এবং বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, ১০০ জনের বেশি ট্রান্সজেন্ডার কর্মী নিয়োগ করলে পাঁচ শতাংশ কর ছাড় পাবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীকে পৃথক একটি লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। তবে, চাকরিক্ষেত্রে এখনো তাদের স্বাগত জানানো হচ্ছে না। কর ছাড় দেওয়ার উদ্যোগ নিলে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চাকরি দিতে আগ্রহী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
সরকারের সামাজিক সুরক্ষা স্কিমের আওতায় ট্রান্সজেন্ডাররা ভাতা পেয়ে থাকেন। বর্তমান অর্থবছরে ট্রান্সজেন্ডার, বেদে ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীগুলোর জন্য ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে সরকারের।
প্রতিবেদনটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন জারীন তাসনিম।
Comments