উপকূলের আরও কাছে ইয়াস, ভারী বর্ষণ-চার ফুট উচ্চতার জোয়ারের সম্ভাবনা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলের আরও কাছাকাছি আসায় এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদী ও খালগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল দুপুরের দিকে ঝড়টি উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করতে পারে। সে সময় উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলের আরও কাছাকাছি আসায় এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদী ও খালগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ছবি: স্টার

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলের আরও কাছাকাছি আসায় এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদী ও খালগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল দুপুরের দিকে ঝড়টি উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করতে পারে। সে সময় উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানা সুলতানা ববি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এগিয়ে আগামীকাল দুপুরে উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে নদ-নদীতে পানি বাড়ছে।’

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১২ অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকরে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, নৌ-যান চলাচল সীমিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢাকা-চাঁদপুর, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-ভোলা ও ঢাকা-ভোলারহাট ছাড়া অন্য সব রুটে নৌ-যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামের জেলা ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।

Comments