হাতিয়ায় হুমকির মুখে ১২০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

গত বুধবার হাতিয়ায় জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে পড়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

জোয়ারের তোড়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার তমরদ্দিন ও সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৮টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ফুট উচুঁ জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। অন্যদিকে উপজেলার ১২০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও হুমকিতে। সব মিলিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় হাতিয়া উপজেলার ৭ লাখ মানুষ।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের। তারা জানান, মৎস্য শিকার করে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় আইলা, সিডর, বুলবুল এবং আম্ফানের আঘাতে নিঃস্ব হয়ে গেছে এ অঞ্চলের মানুষ। এখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকারের এ ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন বলেন, ১৭টি গ্রামে ৫৭ হাজার লোকের বসবাস এই ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় চরম ঝুঁকির মধ্যে তাদেরকে বসবাস করতে হচ্ছে।

সুখচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান তার ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অধিকাংশ এলাকা ভাঙা। বাকি অংশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও সুখচর, সোনাদিয়া, কমরুদ্দি ইউনিয়নের বাঁধগুলো চরম ঝুঁকিতে আছে।

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাছির উদ্দিন জানান, হাতিয়ার ৯ টি ইউনিয়নে ১২০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আছে। বাঁধের মধ্যে চর ঈশ্বর, নলচিরা ও সুখচর ইউনিয়নে সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধ নদী ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উপজেলার তমরউদ্দি, সুখচর ও সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৮ কিলোমিটার।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এমরান হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাতিয়া উপজেলার মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে সেখানে নিঝুমদ্বীপে বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রকল্প আছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, করোনাকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলায় উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ায় দূরত্ব বজায় রেখে দুর্গত মানুষদের আশ্রয়ের পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Liberation war a founding pillar of the state: Nahid Islam

Clarifies NCP's stance opposing religious extremism, secularist ideologies

28m ago