উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল ইয়াস

ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হবে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স

ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হবে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

ভুবনেশ্বরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ উমাশঙ্কর দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস স্থলভাগ অতিক্রম করে গেছে। তবে আগামীকাল পর্যন্ত এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হবে। জেলেদের আরও কয়েক দিন সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে, কারণ আবারও যেকোনো সময় সমুদ্র আবার উত্তাল হতে পারে।

তিনি জানান, ইয়াসকে প্রথমে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঝড়টির আজ সকাল ৯টায় উড়িষ্যার উত্তর উপকূলের কাছে ভাদ্রক জেলায় আঘাত হানার কথা ছিল। তবে, দুপুর দেড়টার দিকে ঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রম শেষ করেছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে উড়িষ্যার বালাসোর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার।

উড়িষ্যার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার পি কে জানা বলেন, উড়িষ্যার বালাসোর জেলার বাহানাগ ও রেমুনা ব্লক এবং ভাদ্রক জেলার ধর্ম ও বাসুদেবপুরের বহু গ্রামে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করেছে।

তিনি জানান, গ্রাম থেকে লবণাক্ত পানি বের করে দিতে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে কাজ করছে প্রশাসন।  

এছাড়া ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমিলিপাল ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Hasina’s flight was kept off radar

When the air force transporter plane carrying Sheikh Hasina left Dhaka on August 5, it took off as a training flight and turned off its transponders to blur its flightpath and location..The transponders, which transmit location, heading

4h ago