‘শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেছি’, কেন এমন অভিযোগ, বুঝতে পারছি না: ঢাবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে কোনো দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মানববন্ধন করে ও পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আলোচনার এক পর্যায়ে 'ফেসবুকে ক্যাম্পাস খোলার বিষয় নিয়ে যারা লেখালেখি করেছে, তাদের মানসিক বিকারগ্রস্ত' বলে উপাচার্য মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. আখতারুজ্জামান তা প্রত্যাখ্যান করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেন শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করছে, তা বুঝতে পারছি না।'
'শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা দ্বিমত করছি না। তা করেও আমাদের কোনো লাভ নেই। তাদের ক্যাম্পাসে আসতে চাওয়ার দাবিটি স্বাভাবিক। এ দাবি যৌক্তিক,' যোগ করেন তিনি।
স্মারকলিপি নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকের মতো আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, 'শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পন্ন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে।'
উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের দাবি উত্থাপন করলে উপাচার্য জানান যে শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ তাদের নেই। আলোচনার মধ্যে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, "ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে যারা ফেসবুকে লেখালেখি করছে তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। তাদের পারিবারিক শিক্ষার অভাব আছে"।'
আসিফের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে উপাচার্যকে আজ দুপুর দেড়টার দিকে স্মারকলিপি দেয়। সেখানে তারা তিনটি দাবির কথা জানান। দাবিগুলো হলো--২৯ মে'র পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি যেন আর বাড়ানো না হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিগগির ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
Comments