টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে লিটনের বদলে নাঈম
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতেছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। টস জিতে অনুমিতভাবেই আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। একাদশে বড় একটা বদল এনেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে ৮ ম্যাচ ধরে রান না পাওয়া লিটন দাসের বদলে খেলানো হচ্ছে নাঈম শেখকে।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আকাশে জমা হওয়া ঘন কালো মেঘ ও বাতাসের কারণে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পরে হয় টস। আবহাওয়ার পূর্ভাবাস বলছে, বিকাল ৪টা পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির শঙ্কা আছে।
প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে আরও ১০ পয়েন্ট অর্জনের পাশাপাশি লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশড করার সুযোগ রয়েছে তামিম ইকবালের দলের সামনে।
বাংলাদেশের আগের ম্যাচের একাদশ থেকে একটা বদল অনুমিতই ছিল। কনকাশনের কারণে ম্যাচের মাঝেই মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বদলে তাসকিন আহমেদকে খেলানো হয়েছিল। তাসকিন খেলছেন এই ম্যাচেও।
স্ট্যান্ড-বাই থেকে শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে নিয়ে আসা হয়েছিল নাঈমকে। স্কোয়াডে ব্যাক-আপ ওপেনার সৌম্য সরকার থাকতেও প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে একাদশে রাখা হয়েছে তরুণ এই বাঁহাতিকে। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে একটা ওয়ানডে খেলেছেন নাঈম। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সে ম্যাচে ব্যাটিং পাওয়া হয়নি তার। রানে ভরা ওই ম্যাচে ১৭৬ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসে রেকর্ড গড়েছিলেন লিটন।
কিন্তু ওই কীর্তির মাত্র ৮ ম্যাচ পরই নাঈমের কাছে একাদশে জায়গা হারালেন তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে থিতু হয়ে যাওয়া লিটন। এসময়ে ১২.৬২ গড়ে তার সংগ্রহ মোটে ১০১ রান।
একাদশে চারটি বদল এনেছে শ্রীলঙ্কা। অভিষেক হয়েছে তিন জনের। আসেন বান্দারার বদলে একাদশে জায়গা মিলেছে নিরোশান ডিকভেলার। দাসুন শানাকা, ইসুরু উদানা ও লাকসান সান্দাকানের পরিবর্তে খেলা অভিষিক্তরা হলেন স্পিন অলরাউন্ডার রমেশ মেন্ডিস এবং দুই পেসার চামিকা করুনারত্নে ও বিনুরা ফার্নান্দো।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: কুসল পেরেরা, দানুশকা গুনাথিলেকা, পাথুম নিশানকা, কুসল মেন্ডিস, নিরোশান ডিকভেলা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, রমেশ মেন্ডিস, চামিকা করুনারত্নে, বিনুরা ফার্নান্দো, দুশমন্ত চামিরা।
Comments