বেলারুশের আকাশসীমা এড়ানোর পরিকল্পনা, ইউরোপিয়ান এয়ারলাইনসে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

এয়ার ফ্রান্সের উড়োজাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

মস্কো যাওয়ার পথে বেলারুশের আকাশসীমা এড়িয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করায় দুই ইউরোপিয়ান এয়ারলাইনসের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া।

নিষেধাজ্ঞার ফলে এয়ার ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস রাশিয়ায় তাদের সেবা বাতিল করেছে।

আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বেলারুশ সরকার গত রোববার মিনস্কে রায়না এয়ার উড়োজাহাজটিকে ঘুরিয়ে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপের কিছু এয়ারলাইনস বেলারুশের আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে।

বেলারুশ রাশিয়ার শক্তিশালী মিত্র। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এই দেশটির সরকারের সমর্থনে অবিচল রয়েছে রাশিয়া।

বেলারুশ ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এটি ক্রেমলিনের প্রথম উদ্যোগ। বেলারুশের আকাশসীমা এড়িয়ে গেলে সব ফ্লাইট প্রবেশ নিষিদ্ধ হবে কি না, সে বিষয়ে রাশিয়া এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য বেলারুশিয়ান উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোকে তাদের আকাশসীমায় নিষিদ্ধ করেছে এবং বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয় আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞার কারণে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বেলারুশিয়ান এয়ারলাইনস বেলভিয়াকে ১২টি রুট বাতিল করতে হয়েছে। রুটগুলো হলো আমস্টারডাম, বার্সেলোনা, বার্লিন, ব্রাসেলস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, হ্যানোভার, ক্যালিনিনগ্রাদ, মিলান, মিউনিখ, রোম, ভিয়েনা ও ওয়ার্সা।

রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে প্যারিস ও মস্কোর মধ্যে এয়ার ফ্রান্সের কমপক্ষে চারটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার ফলে দুটি অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অবতরণ করা হয়েছে, যাদের একটি ভিয়েনা থেকে মস্কোগামী যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ এবং অন্যটি চীনের নানজিং থেকে ভিয়েনায় যাওয়ার একটি কার্গোবিমান।

প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার এই ধরনের উদ্যোগ ‘একেবারেই বোধগম্য নয়’।

ফরাসি পরিবহন মন্ত্রণালয় এএফপিকে জানিয়েছে, ‘পারস্পরিক নীতি ... অবশ্যই সম্মান করা উচিত’।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

2h ago