শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী-যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের স্বাভাবিক চাপ আছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে এ নৌপথে ১৪টি ফেরি ও ৮১টি লঞ্চ চলাচল করছে।
আজ দুপুর ২টায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে পেতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরীক্ষামূলক কয়েকটি ফেরি চালু হয়। এরপর ফেরির সংখ্যা সংখ্যা বাড়িয়ে বর্তমানে এ নৌপথে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে।'
ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের স্বাভাবিক চাপ আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মা উত্তাল থাকায় গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে পরীক্ষামূলক ফেরি চালু হয়।
নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ৬৫ ঘণ্টা পর আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। এরপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট চলার পর ফের বন্ধ হয়ে যায়। তারপর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে বেলা ১২টার পর থেকে আবার চালু হয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস'র প্রভাবে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানান তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হাফিজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন আছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেট কারের সংখ্যাই বেশি।
ফেরিঘাট ও পন্টুন মেরামত
শিমুলিয়া ঘাটের দুই নম্বর পন্টুন মেরামতের কাজ চলছে। পাশাপাশি ফেরিঘাটে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ (বালুর বস্তা) ফেলা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপসহকারী প্রকৌশলী হারিস আহম্মেদ পাটুয়ারী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস'র প্রভাবে চারটি ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে গত কয়েকদিনে প্রায় এক লাখ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
দুই নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন বিআইডব্লিউটিসি মেরামত করছে বলে জানান তিনি।
Comments