আসাদই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট!

Asad.jpg
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে আসাদ সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স

চতুর্থবারের মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাশার আল আসাদ। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ৯৫ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে।

রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার হাম্মৌদা সাব্বাগ এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটের ফল ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৭৮ শতাংশ, ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন।

নির্বাচনে অপর দুই প্রার্থী ছিলেন সাবেক উপ-মন্ত্রিসভা মন্ত্রী আবদাল্লাহ সালৌম আবদাল্লাহ ও ছোট একটি বিরোধী দলের মাহমুদ আহমেদ মারেই। নির্বাচনে সালৌম পেয়েছেন ১.৫ শতাংশ এবং মারেই পেয়েছেন ৩.৩ শতাংশ ভোট।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় ৫৫ বছর বয়সী আসাদ আরও সাত বছর ক্ষমতায় থাকবেন। প্রায় ছয় দশক ধরে তার পরিবার দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এর আগে, ২০০০ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৩০ বছর সিরিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন আসাদের বাবা হাফেজ আল-আসাদ।

জয় উদযাপনে বৃহস্পতিবার সারাদিন কয়েক হাজার লোক সিরিয়ার পতাকা ও আসাদের ছবি নিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন।

ফলাফল ঘোষণার পর নিজের নির্বাচনী প্রচারণার ফেসবুক পেজে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আসাদ। আসাদের সরকার জানায়, এই নির্বাচন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দশক ধরে সংঘাত চলা সত্ত্বেও সিরিয়া স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় চলমান সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, এক কোটি ১০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছেন। 

এদিকে, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নির্বাচনের আগে আসাদের সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, দেশটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আসাদবিরোধী তুরস্কও দাবি করেছে যে, এই নির্বাচন অবৈধ।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনীও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এই নির্বাচনের নিন্দা জানায়। তারা নির্বাচন বয়কট করেছে।

সিরিয়ার ৭০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন আসাদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির অর্থনীতির নিম্নগামীতা ঠেকানোই হবে আসাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

1h ago