বেনাপোল দিয়ে আজও দেশে ফিরেছেন ১২৬ জন

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ শনিবার ভারতে আটকে পড়া ১২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে মোট তিন হাজার ৯১১ জন ভারত থেকে দেশে ফিরলেন। তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পুলিশের সহযোগিতায় বেনাপোল ও যশোরের বিভিন্ন হোটেল ও গেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিশেষ অনুমতিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরা বাংলাদেশিরা। ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ শনিবার ভারতে আটকে পড়া ১২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে মোট তিন হাজার ৯১১ জন ভারত থেকে দেশে ফিরলেন। তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পুলিশের সহযোগিতায় বেনাপোল ও যশোরের বিভিন্ন হোটেল ও গেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে সকল স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। তবে দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা।

তিনি জানান, ভারত ফেরতদের মধ্যে যাদের করোনা নেগেটিভ সনদ আছে তাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। আর যারা করোনা পজিটিভ তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের মাথায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।

পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত বাড়ি কেউ বাড়ি ফিরতে পারছেন না বলেও জানান তিনি। ফলাফল পজিটিভ হলে নতুন করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক আছে বলে জানান ওসি।

তিনি জানান, ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা যেন বন্দরের বাইরে যেতে না পারে, সেজন্য বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বিকেলে এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কাস্টমস, বন্দর, পুলিশ, বিজিবি ও শার্শা উপজেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠক হয়।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, 'বন্দর থেকে পণ্য দ্রুত খালাস করতে কাস্টমস কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। পণ্য খালাসে যেন দেরি না হয়, সেজন্য কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।'

যশোরে নতুন করে আরও ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলার আছেন ১৬ জন। এছাড়া, অভয়নগরে সাত ও মণিরামপুরে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৩২ হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ছয় হাজার ৮৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৩৭৮ জন ও মারা গেছেন ৭৮ জন।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

11h ago