বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিবৃতি

‘প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ দুঃখ ও উদ্বেগজনক’

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রতুল বরাদ্দ নিয়ে নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

আজ শনিবার এক বিবৃতিতে পরিষদ জানায়, ধর্ম  মন্ত্রণালয়ের বাজেটে চলমান প্রকল্প ও অন্যান্যে মোট বরাদ্দ হিসেবে ১৫,০৫৪.০৩ কোটি টাকা রাখা হলেও তার মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯০.০৮ কোটি টাকা যা মোট প্রকল্প বরাদ্দের শতকরা ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এই বরাদ্দকৃত অর্থের ২০০ কোটি টাকা ২০১৭ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনে ৩০০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের ঐক্য পরিষদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণা করেছিলেন।

সংগঠনের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রাণা দাশগুপ্ত বিবৃতিতে বলেন, থোক বরাদ্দ হিসেবে ২০১৭ সালে ঘোষিত ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আওতায় আংশিক কিছু প্রকল্পের কার্যক্রম সারাদেশে বর্তমানে চলমান রয়েছে তবে পরবর্তী বিভিন্ন অর্থবছরের বাজেটে কোনো নতুন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

পরিষদ জানায়, স্বাধীনতা-পরবর্তী বৈষম্য-বঞ্চনায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে বাজেটে ধারাবাহিকভাবে কোনোরূপ প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাজেটে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ থাকলেও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ধর্মীয় শিক্ষা, সংস্কৃত ও পালি বোর্ড এবং তাদের অধীনে পরিচালিত টোল ও পালি প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারেই জরাজীর্ণ ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

বিবৃতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে চলমান বৈষম্য নিরসনে অন্যুন ৫,০০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Iran's top security body to decide on Hormuz closure

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

15h ago