কানাডার আদিবাসী স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে ২১৫ শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার

কলম্বিয়ায় কামলুপস ইন্ডিয়ান রেসিডেনসিয়াল স্কুল। ছবি: রয়টার্স

কানাডায় পুরনো একটি আদিবাসী স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে অন্তত ২১৫টি শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মাত্র তিন বছরের শিশুও রয়েছে।

রয়টার্স জানায়, মাটির নিচের রাডার বিশেষজ্ঞরা এগুলোর খোঁজ পেয়েছেন। কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে অনুসন্ধান শুরু হয়।

ছয় বছরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, কানাডার আবাসিক স্কুল ব্যবস্থার কারণে আদিবাসী শিশুদের জোরপূর্বক তাদের পরিবার থেকে আলাদা করা হতো। সেখানে এক ধরনের ‘কালচারাল জেনোসাইড’ ঘটেছিল।

প্রতিবেদনে ১৮৪০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এক লাখ ৫০ হাজার শিশুর মধ্যে অনেকই ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপুষ্টি ও অন্যান্য অত্যাচারের শিকার হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, আবাসিক স্কুলে পড়ার সময় চার হাজার একশরও বেশি শিশু মারা গেছে।

২১৫ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা আদিবাসী স্কুলটি একসময় কানাডার বৃহত্তম আবাসিক বিদ্যালয় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই মরদেহগুলোর কোনোটিই এর আগে নথিভুক্ত ছিল না। আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত কেউ এগুলো সম্পর্কে জানতেনও না।

কামলুপস এলাকায় রেড ইন্ডিয়ান বিভিন্ন গোত্রের বসবাস রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা শিশুদের সবাই সেখানকার বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

টিকেমলুপস টে সেকওয়েপেমেক গোত্রের বর্তমান প্রধান রোসান্নে ক্যাসিমির বলেন, ‘আমাদের গোত্রের অনেকেরই এটা সম্পর্কে ধারণা ছিল। এখন আমরা এটা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছি। এই মুহূর্তে আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে।’

টিকেমলুপস টে সেকওয়েপেমেক গোত্রের সদস্যরা আরও জানান, তারা স্কুলগুলোতে এ ধরনের ঘটনার অনুসন্ধানের কাজে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করছে। জুনের মাঝামাঝির মধ্যে প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইটে এই ঘটনাটিকে ‘দেশের ইতিহাসের একটি লজ্জাজনক অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে, ২০০৮ সালে কানাডার সরকার স্কুলগুলোতে এ ধরনের ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers declare 'shutdown' at JnU

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

1h ago