দিল্লিতে লকডাউন বাড়ল ৭ জুন পর্যন্ত

ছবি: সংগৃহীত

কোডিভ-১৯ এর সংক্রমণ রোধে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে লকডাউন চলবে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল।

উৎপাদন ও নির্মাণ খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে সরকার। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার দিল্লিতে ৯৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এদিন করোনা আক্রান্ত ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দিল্লিতে এই মুহূর্তে করোনা শনাক্তের হার এক দশমিক ১৯ শতাংশ। গত মার্চে যা ৩৬ শতাংশ ছিল। ২২ মার্চের পর এবারই প্রথম শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নামল।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘যদি সামনের সপ্তাহগুলোতে সংক্রমণ কমে আসে, তাহলে আমরা পর্যায়ক্রমে বিধি-নিষেধ তুলে নিতে থাকব। আমরা চাই আর্থিক কার্যক্রম আবার চালু হোক। যাতে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।’

গত শুক্রবারও মুখ্যমন্ত্রী বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছিলেন। পাশপাশি সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে আবার তা বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

এর আগে ১৫ মে কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ ধীরে কিন্তু অব্যাহতভাবে কমছে। আমি আশা করবো এটা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা এটাকে কোনোভাবেই অবহেলা করবো না।

সরকারি তথ্য অনুসারে, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমন ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০ এপ্রিল ২৮ হাজার রোগী শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হয় ২৭৭ জনের। ২২ এপ্রিল যা ৩০৬ জনে পৌঁছায়। আর ২ মে রেকর্ড ৪০৭ জন মারা যান।

তবে গত কয়েক দিনে সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

7h ago