সংক্রমণ রোধে মহারাষ্ট্রে ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ছে বিধিনিষেধ

ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এর অংশ হিসেবে তিনি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তার রাজ্যে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন।

পাশাপাশি, তিনি জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা যেন এ বিষয়ে কোনো ক্ষেত্রেই শিথিলতা না দেখান।

আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন— রাজ্য সরকার প্রতিটি জেলার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট অঞ্চলে বিধিনিষেধ বাড়তে বা শিথিল করতে পারে।

যে শহরগুলোতে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের কম সেখানে বিধিনিষেধ শিথিল হতে পারে এবং যেখানে সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের বেশি সেই এলাকার সীমানা বন্ধ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউ কখন এবং কোন তারিখে আসবে তা জানি না। সুতরাং, আমাদের নজরদারি কমানো উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘গত তিন-চার দিনে করোনা শনাক্তের সংখ্যাটি সর্বশেষ ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ের সঙ্গে মিলেছে। তবে একটি ভালো দিক হলো করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার এখন ৯২ শতাংশ। এমনকি মৃত্যুর হারও কমেছে।’

তিনি জানান, শহরে কোভিডের হার কমলেও রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ বেড়েছে।

ঠাকরের মতে, রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ তীব্র আকারে আঘাত হানলে মেডিকেল অক্সিজেনের সংকটে পড়তে হতে পারে।

‘যদি রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ প্রবলভাবে দেখা দেয় তবে আমাদের অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা হবে। কারণ এবার আমাদের প্রতিদিন ১,৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হয়েছিল,’ যোগ করেন তিনি।

শিশুদের সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করার বিষয়ে সতর্কতার পরামর্শ দিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউ শিশুদের সংক্রমিত করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। তবে তারা যদি সংক্রমিত হয় তবে এটি আমাদের মাধ্যমেই হবে। সুতরাং, এ বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’

মুখ্যমন্ত্রী জানান, শিশুদের কীভাবে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে রাজ্য সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে। মহামারিতে যে শিশুরা তাদের মা-বাবাকে হারিয়েছে সরকার তাদের দায়িত্ব নেবে এবং শিগগিরই এই বিষয়ে নীতিমালা প্রকাশ করা হবে।

সাধারণত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত মিউকরমিকসিসের হুমকির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত তিন হাজারের মতো রোগী রয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago