মৌলভীবাজারে সম্প্রতি করোনা শনাক্ত ২৪ জনের ১২ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জফেরত
মৌলভীবাজারে সম্প্রতি করোনা শনাক্ত হওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১২ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জফেরত ও তাদের পরিবারের সদস্য।
গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার রাতে তাদের বাড়িতে কাজ করতেন এমন দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।
তিনি জানান, মৌলভীবাজার সদরের বড়কাপনে চাঁপাইনবাবগঞ্জফেরত আরও ৬৩ জন ও চাদনিগাটে আট জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে আজ। পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাদের করোনা পজিটিভ হলে ভারতীয় ধরণ শনাক্তে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘নতুন করে শনাক্তের মধ্যে রাজনগরে একজন, শ্রীমঙ্গলে ১৪ জন এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নমুনা প্রদানকারীদের মধ্যে নয় জন আছেন। এই সময়ে পাঁচ জন সুস্থ হয়েছেন। কিছুদিন ধরে শনাক্তের হার ১০ থেকে ১৬ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে।’
সিভিল সার্জন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চার থেকে পাঁচটি পরিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান এলাকায় অবস্থান করে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসা করেন। ঈদে তাদের ১২ জন বাড়ি গিয়ে সম্প্রতি ফিরেছেন। ফেরার পর ওই ১২ জনসহ তাদের পরিবারের ৩৪ সদস্যদের নমুনা পরীক্ষার করে ১২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ এলন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জফেরত ১২ জন ও তাদের পরিবারের সংক্রমিতরা করোনার ভারতীয় ধরন বহন করছেন কি না, তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য লিখিতভাবে জানানো হবে।’
জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৩০ জন। মারা গেছেন ৩০ জন।
মৌলভীবাজার শহরে পূর্ব সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা কাওছার আহমেদ বলেন, ‘গতকাল দুপুরের দিকেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেরিওয়াদের প্লাস্টিকের পণ্য ফেরি করতে দেখেছি। তারা “হরেক রকম পণ্য” নামে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি করে। তারা যেভাবে বাসায় বাসায় পণ্য বিক্রয় করছে তাতে করোনা সংক্রমণ ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে।’
স্থানীয়রা জানান, কোয়ারেন্টিন করা ৭১ জনের প্রায় সকলেই ফেরিওয়ালা। তারা পাড়া-মহল্লা ও গ্রামে গ্রামে ঘুড়ে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি করেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আবেদা বেগম বলেন, ‘আজ সকাল ১০টা থেকে ৭১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে।’
পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জনের অফিস, মডেল থানা পুলিশ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়।’
Comments