খুলনা বিভাগে এক দিনের ব্যবধানে নতুন আক্রান্ত দ্বিগুণ, মৃত্যু ৭

খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৬ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০৬ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিস জানায়, বিভাগের ১০ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন দুই জন। এ সময় ২০৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল এই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সূত্র বলছেন, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে খুলনা জেলায় মারা গেছেন দুই জন, বাগেরহাটে একজন, যশোরর একজন, সাতক্ষীরার একজন, নড়াইলে একজন এবং কুষ্টিয়া একজন। একই সময় করোনা পজিটিভ এসেছে খুলনার ৫৩ জনের, বাগেরহাটের ১২ জনের, সাতক্ষীরার ৩৭ জনের, যশোরের ৪৩ জনের, নড়াইলের ৯ জনের, ঝিনাইদহের ৫ জনের, কুষ্টিয়ার ৩৩ জনের, চুয়াডাঙ্গার ১১ জনের এবং মেহেরপুরের ৩ জনের।

গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৭৮ জন।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত বছরের ১৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ২৯১ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪৫ জনে। এসময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ৩৫৮ জন।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিকে দিয়ে ১০ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২২৪ জন। মারা গেছেন ১৭৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হজার ১৭৬ জন।

যশোরে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩০ জন, মারা গেছেন ৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হজার ৩৮৭ জন। অন্যদিকে কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৬ জন। মারা গেছেন ১১২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৪৮ জন। 

জেলাওয়ারী বাগেরহাটে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬০৩ জন, মারা গেছেন ৪২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪০৮ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩২৯ জন।

নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭৩ জন, মারা গেছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৮১৫ জন। মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৫৩ জন, মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২০৭ জন।

ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯০৮ জন, মারা গেছেন ৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৩৬ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৮ জন, মারা গেছেন ৬১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১৭ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৩৫ জন।

এদিকে সীমান্তের জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই জেলাগুলোতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লকডাউন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেবিনেট ডিভিশন এটা নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান। কিন্তু আম বাণিজ্যের কারণে এখনও বিষয়টি ভাবতে হচ্ছে। তাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে কখন দেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago