ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: কক্সবাজার সৈকতের ১৩ হেক্টর ঝাউ বাগানসহ ২৩ হেক্টর বন ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও সাগরের জোয়ারের প্রবল ধাক্কায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ১৩ হেক্টর ঝাউ বাগানসহ মোট ২৩ হেক্টর বন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় বন বিভাগের আরও কিছু ঝাউ বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ সোমবার কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কক্সবাজারে ১৩ হেক্টর ঝাউবাগানসহ মোট ২৩ হেক্টর বন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় বন বিভাগের আরও কিছু ঝাউ বাগানের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে।'
কক্সবাজার বন বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় ঝাউ বাগান তৈরি শুরু হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত সৈকতে ৬৭০ হেক্টর ঝাউ বাগান তৈরি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও পূর্ণিমার জোয়ারে কক্সবাজার উপকূলে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। এতে কক্সবাজার সৈকত ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের ঝাউ বাগানসহ জেলা শহর সংলগ্ন সৈকতের কবিতা চত্বর, ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট ও শৈবাল পয়েন্টে উপড়ে গেছে অন্তত ৩০০ বড় আকারের ঝাউ গাছ। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কক্সবাজার, ইনানী, হিমছড়ি ও হোয়াইক্যং ও টেকনাফ বন রেঞ্জের আওতাধীন কক্সবাজার সৈকতের উত্তর প্রান্তের জিরো পয়েন্ট নাজিরারটেক থেকে টেকনাফের সাগর সৈকত পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার সৈকতের ১৩ হেক্টর ঝাউ বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
তবে, এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন করে ৩৫ হেক্টর ঝাউ বাগান তৈরিসহ পুরাতন বাগানে ৬০ হাজার নতুন ঝাউ গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকতের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে আছে ঝাউ বাগান। এই ঝাউ বাগান প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে লোকালয়-জনপদকে শুধু রক্ষা করে না, পরিবেশ রক্ষায়ও এর উল্লেখযোগ্য অবদান আছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ঝাউ বাগানে শিগগির নতুন বাগান সৃষ্টি ও এই বাগান রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী।
Comments