ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা

কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা আয়োজনের তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর নতুন স্বাগতিক দেশ খুঁজে নিয়েছে কনমেবল। দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ব্রাজিলে বসবে প্রতিযোগিতাটির পরের আসর।
নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সোমবার বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কনমেবল। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) ২০২১ কোপা আমেরিকার আয়োজক হওয়ার ইচ্ছা জানিয়ে আবেদন করেছিল দেশটির সরকারের কাছে। সেই আবেদনে মিলেছে সবুজ সংকেত।
এর আগে কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিঙ্গেজ যোগাযোগ করেন সিবিএফের সভাপতি রোজারিও কাবোক্লোর সঙ্গে। দমিঙ্গেজ ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা আয়োজনের সম্ভাবনা যাচাই করে দেখতে বলেন কাবোক্লোকে। এরপর সিবিএফের সভাপতি বিষয়টি সম্পর্কে ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারুকে জানান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সমর্থন দেন সিবিএফের প্রস্তাবকে।
দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ ফুটবল আসরটি এবার যৌথভাবে আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই তালিকা থেকে কদিন আগে বাদ পড়েছিল কলম্বিয়া। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনাকেও বাদ দেওয়া হয়। ফলে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল নির্ধারিত সময়ে কোপা আমেরিকার আয়োজন। সেই অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে গেছে।
নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে কোপা আমেরিকা। আগামী ১৩ জুন শুরু হয়ে ১০ জুলাই শেষ হবে আসরটি। বিবৃতিতে কনমেবল বলেছে, ‘২০২১ কোপা আমেরিকা অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিলে! শুরু ও শেষের তারিখ ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে। কোন কোন শহরে কত কত তারিখে ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে তা আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানানো হবে।’
প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল কোপা আমেরিকার সবশেষ আসরটিও আয়োজন করেছিল (২০১৯ সালে)। অতীতে পাঁচবার প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে প্রতিবারই শিরোপা জেতে সেলেসাওরা।
তবে শঙ্কার ব্যাপার হলো, ব্রাজিলের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার সোমবার জানিয়েছে, বিশ্বে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় ও সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ১২০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৩১ জন।
মূলত, আর্থিক কারণেই কোপা আমেরিকা বাতিল বা স্থগিত করতে অনাগ্রহী আয়োজকরা। ২০১৯ সালের আসর থেকে কনমেবল আয় করেছিল ১১.৮ কোটি ডলার।
Comments