রোহিঙ্গা গণহত্যা: আইসিজে'র আদেশ পালনে রাজি মিয়ানমারের ছায়া সরকার

হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। ফাইল ফটো এএফপি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে গত বছর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিজে) দেওয়া আদেশ পালনে রাজি বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)।

এনইউজি'র মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ড. সাসা গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি মিয়ানমারের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে মিল রেখে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট প্রতিটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে, এই ছায়া সরকার রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন বিষয়ে কিছু বলেনি। তারা কেবল আইসিজে'তে করা মামলার বিষয়ে আদালতের আদেশ পালনে সম্মতি জানিয়েছে।

ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট রোহিঙ্গাদের সংকটের বিষয়ে সচেতন উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বিশেষ করে ২০১৬-১৭ সালে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে গণহত্যা বলে দাবি তুলেছে।

২০১৯ সালে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করে। মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ন্যাশনাল লিগ অব ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা অং সান সু চি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন।

গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে সু চি'র দল এনএলডি জয়লাভের পর দেশটির সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করে তাদের উচ্ছেদ করে। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হলে সেনাবাহিনীর নির্যাতন চালায় এবং সু চিসহ বেশ কয়েকজন এনএলডি নেতাকে গ্রেপ্তার করে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ হওয়া নেতারা মিলে ছায়া ‘এনইউজি’ সরকার গঠন করেন। এই ছায়া সরকার মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীগুলোর এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে।

এনইউজি’র বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সামনে তাদের অবস্থান তুলে ধরা এবং আদালতের বেধে দেওয়া সময়সীমার ব্যাপারে সতর্ক থাকাই এখন মিয়ানমারের আইনসঙ্গত সরকার হিসেবে তাদের দায়িত্ব।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের ‘চেষ্টার’ সময় সাধারণ মানুষের অপর হত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য অপরাধের বিষয়ে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট এখন আইসিজে'র বিচারের আশায় আছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'মিয়ানমারের ও জনগণের কল্যাণে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাব।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago