ফরাসি ওপেন থেকে সরেই দাঁড়ালেন ওসাকা
সময়টা দারুণ যাচ্ছিল জাপানী টেনিস তারকা নাওমি ওসাকার। প্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছিলেন তিনি। গত মৌসুমের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেন জয়ের পর চলতি মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও জিতে নিয়েছেন। ফরাসি ওপেনের শুরুটাও দারুণ। কিন্তু প্রথম রাউন্ড শেষ হতেই নানা ঝামেলার শুরু। গণমাধ্যম বয়কট করে জরিমানা গুনেছেন। হুমকি ছিল বহিষ্কারেরও। তবে টুর্নামেন্ট কমিটি সে পথে হাঁটার আগেই নিজে সরে দাঁড়ালেন র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় বাছাই এ তারকা।
রোলাঁ গারোয় আগামীকাল বুধবার দ্বিতীয় রাউন্ডে আরেক রোমানিয়ান আনা বোগদানের বিপক্ষে লড়াই করার কথা ছিল ওসাকার। কিন্তু এর আগেই টুইটারে দীর্ঘ এক বিবৃতি দিয়ে আসর থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত এ জাপানী, 'টুর্নামেন্টের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হচ্ছে, আমার মনে হয়েছে টুর্নামেন্ট, অন্য খেলোয়াড় ও আমার নিজের ভালোর জন্যই সরে দাঁড়ানো উচিত যাতে প্যারিসে এখন সবাই টেনিসেই মনোযোগ দিতে পারে।'
২০১৮ সালে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের পর থেকেই ওসাকা মানসিক অবসাদে ভুগছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেই গণমাধ্যম এড়াতে চেয়েছিলেন। 'আমি কখনোই ঝামেলা হয়ে থাকতে চাইনি। আমি মনে করি, ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার করে বোঝাতে পারতাম। সত্যি কথা হলো, আমি ২০১৮ সালের ইউএস ওপেন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছি।'
ফরাসি ওপেনের প্রথম রাউন্ডে রোববার রোমানিয়ার পাত্রিচিয়া মারিয়া চিগকে ৬-৪ ও ৭-৬ (৭-৪) গেমে হারান ওসাকা। কিন্তু ম্যাচ শেষে পূর্ব ঘোষণা অনুযাযী ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেননি তিনি। পরে গ্র্যান্ড স্ল্যাম কমিটি এক বিবৃতি দিয়ে তাকে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করার কথা জানায়। আর টুর্নামেন্ট চলাকালীন আবার গণমাধ্যম বয়কট করলে আসর তো বটেই, ভবিষ্যতে অন্য কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে সতর্ক করে দেন।
ওসাকার এমন বিদায়ে বিব্রত আয়োজকরাও। ফরাসি টেনিস সংস্থার প্রধান জিলেস মোরেটন এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'প্রথমত এবং সবার আগে আমরা নাওমির ওসাকার জন্য খুবই দুঃখিত। রোলাঁ গারো থেকে ওর নাম প্রত্যাহার খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের তরফ থেকে ওর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আগামী মৌসুমে ওকে আবার এই টুর্নামেন্টে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।'
Comments