আবারও রিয়ালের কোচ আনচেলত্তি
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কার্লো আনচেলত্তিকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়বারের মতো লস ব্লাঙ্কোসদের হাল ধরতে যাচ্ছেন তিনি। স্পেনের সফলতম ক্লাবটিতে তিনি স্থলাভিষিক্ত হবেন সাবেক কোচ জিনেদিন জিদানের।
মঙ্গলবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে অভিজ্ঞ আনচেলত্তিকে কোচ বানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রিয়াল। তার সঙ্গে তিন মৌসুমের জন্য চুক্তি করছে তারা। সবকিছু ইতোমধ্যে পাকা হয়ে গেছে। আগামীকাল বুধবার ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের উপস্থিতিতে তাদের অনুশীলন কমপ্লেক্স রিয়াল মাদ্রিদ সিটিতে চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই পক্ষ।
৬১ বছর বয়সী আনচেলত্তি এর আগে ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত রিয়ালের কোচ ছিলেন। তার অধীনে দুই মৌসুমে মোট চারটি শিরোপা জিতেছিল তারা। স্প্যানিশ লা লিগায় একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও ২০১৩-১৪ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন তিনি। সেটি ছিল ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে রিয়ালের দশম শিরোপা।
মোট তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী (বাকি দুটি এসি মিলানের হয়ে) আনচেলত্তি সবশেষ ছিলেন এভারটনের দায়িত্বে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে টফিদের কোচ হয়েছিলেন তিনি। সবশেষ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ক্লাবটি পায় দশম স্থান।
গত বৃহস্পতিবার ফরাসি কিংবদন্তি জিদান দ্বিতীয়বারের মতো সরে দাঁড়ান রিয়ালের কোচের পদ থেকে। এরপর সম্ভাব্য নতুন কোচের তালিকায় শীর্ষে রাখা হয়েছিল পিএসজির মরিসিও পচেত্তিনো ও রিয়ালেরই সাবেক তারকা রাউল গঞ্জালেজকে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে তাদেরকে টপকে দায়িত্ব পেয়েছেন আনচেলত্তি।
২০০৪-১৫ মৌসুম শেষে বরখাস্ত হলেও পেরেজের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে আনচেলত্তির। রিয়াল সভাপতি নিজেও তা স্বীকার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আনচেলত্তিকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক বোঝাপড়াও বড় ভূমিকা রেখেছে।
সাবেক ইতালিয়ান মিডফিল্ডার আনচেলত্তির সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ। সবশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে একটি শিরোপাও জিততে পারেনি রিয়াল। ২০০৯-১০ মৌসুমের পর এমন ঘটনা ঘটেছে প্রথমবার। তাই খরা কাটিয়ে রিয়ালকে শিরোপার স্বাদ দেওয়াই হবে তার মূল লক্ষ্য।
Comments