পাটকল শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন রুহুল আমিন
খুলনার শ্রমিক আন্দোলনের নেতা শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রুহুল আমিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে ৫৩ দিন কারাগারে ছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছেন। তার কারাগারের জীবন, পাটকল শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা, বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে ভাবনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সোমবার তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।
কী করছেন এখন?
পাটকল শ্রমিকদের নিয়ে যে আন্দোলনের সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলাম, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই এগুচ্ছি। বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৬টি পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকদের সরকার কিছু টাকা দিয়েছে। কিন্তু যারা বদলি শ্রমিক ছিলেন, তারা প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে, এখনও কোনো টাকা পাননি। জামিনে বের হওয়ার পর থেকে তাদের সে দাবিগুলোর কথাই বলার চেষ্টা করছি। আগামীকাল (বুধবার) থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আমরা বলছি, গত অর্থবছরে তাদের জন্য বাজেটে যে বরাদ্দ ছিল, সেটা থেকে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। নতুন বাজেটেও পাটকলগুলোকে পুনরায় আধুনিকায়নের মাধ্যমে যাতে চালু করা যায় সেজন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে। মূলত পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া আদায়ের দাবিতে জাতীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।
শ্রমিকরা কেমন আছে?
কাজ হারানো কয়েক হাজার শ্রমিক এখনও বেকার। অসংখ্য শ্রমিক খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছে। করোনাকালীন তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানও হয়নি। পাটকলগুলোতে ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক বেকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৮০০ শ্রমিক কোনো টাকা পাননি। তাদের বেশিরভাগই নিরক্ষর। তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের জটিলতার কথা বলে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। বিজেএমসির (বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন) সদিচ্ছা থাকলে এটা কোনো জটিলতাই না। তারা ১০ বছর ধরে এই নামে কারখানাগুলোতে কাজ করেছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও আছে। টাকাগুলো সেখানে দিয়ে দিলেই হয়। হয়তো জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের কারো নামের এ-কারটা ও-কার হয়ে গেছে, এই অজুহাত দেখিয়ে টাকা দিচ্ছে না। বাকি ২২ হাজার ২০০ শ্রমিক অর্ধেক টাকা পেয়েছে। তাদেরকে করোনার সময়ই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বদলি শ্রমিকদের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
প্রথমে সরকার বলেছিল তারা পাটকলগুলো পিপিপিতে (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) চালাবে। কিন্তু যখন ব্যবসায়ীরা রাজি হচ্ছে না তখন তারা সেগুলো লিজ হিসেবে দিয়ে দিচ্ছে অর্থাৎ এখানে সরকার ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেখছে। সেক্ষেত্রে বিদেশি ব্যবসায়ীদেরও অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এগুলো কোনোভাবেই দেশের স্বার্থ, শ্রমিক স্বার্থ বা অর্থনৈতিক স্বার্থ হতে পারে না। যে কারণে আমরা চাচ্ছি, রাষ্ট্রীয়ভাবেই পাটকলগুলো আধুনিকায়নের মাধ্যমে চালু করা হোক। সে দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।
আপনাকে তো গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কার্টুনিস্ট কিশোরের বাড়ি থেকে। তার সঙ্গে পাটকল শ্রমিকদের কী সম্পর্ক?
যখন সরকার পাটকল বন্ধ করেছে, তখন হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় নামার কথা। কিন্তু তারা নামেনি। কারণ স্থানীয় প্রশাসন সেখানে চাপ তৈরি করেছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে, ওখানকার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের তারা নানাভাবে চুপ করিয়ে দিয়েছে। সবাই যখন চুপ ছিল তখন আমরাই উদ্যোগ নিয়েছি। সমস্ত শ্রমিকদেরকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। এই মিলগুলো যদি বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দিতে হয়, সেখানে আন্দোলনের বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়ে যায়। সেরকমভাবেই আন্দোলন সামনের দিকে এগোচ্ছিল। তখনই একটা ইস্যু তৈরি করে, আন্দোলনটাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাছাড়া আমরা তো শুধু পাটকল শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করি না। যেকোনো অন্যায় হোক, সেটা সরকার করুক বা যে কেউ, যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করি। ওই সময়টায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে কার্টুন আঁকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। লেখক মুশতাক আহমেদকেও স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির তথ্য উপস্থাপনের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি অসুস্থ অবস্থায় সাতবার জামিন আবেদন করেছিলেন, একবারও দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে অসংখ্য অপরাধী অপরাধ করেও জামিন পেয়ে যাচ্ছে, কিংবা রাষ্ট্রপতি তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছেন। যখন একজন মানুষ সত্য উপস্থাপন করছেন; তখন তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হলো, চিকিৎসা করতে দেওয়া হলো না; কারা হেফাজতে মারা গেলেন; তখন আমরা লেখালেখি করেছি। ওই ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত বলে মনে করছি। এটার প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। যেটা গ্রেপ্তারের আরেকটা কারণ।
আপনারা তো ঢাকায় কর্মসূচি দিয়েছিলেন, অন্যান্য সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন?
হ্যাঁ, আমরা ঢাকায় কর্মসূচি দিয়েছিলাম এবং আমি তাতে যোগ দিতাম। ঢাকায় যারা অ্যাকটিভিস্ট, যাদের সঙ্গে পরিচয় ছিল, তাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। আমরা মনে করেছি, গৎবাঁধা আমাদের যেসব আন্দোলন হয়, শাহবাগ টু প্রেসক্লাব কিংবা প্রেসক্লাব টু পল্টন, সেগুলো করলে হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি হয়েছে সংসদে; সেটা বাতিলের দাবিতে সেখানেই যাওয়া উচিত। সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু সেটা যখন পারে না, তখন জনগণের কাছে সংসদকেই জবাবদিহি করতে হবে; সেখানেই চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সেখান থেকেই আমাদের বিবেচনা ছিল যে, সংসদ ঘেরাও করা দরকার।
কিন্তু কেউ কেউ এ ধরনের কর্মসূচিকে হঠকারি বলে মন্তব্য করেছে…
দেখুন, যেকোনো চিন্তা বা দীর্ঘদিন যেভাবে আমরা কাজ করে আসছি, যেভাবে ভেবে আসছি, সেই ভাবনার বাইরে যখনই নতুন কিছু একটা আসে, তখনই সেটার সঙ্গে অনেকে খাপ খাওয়াতে পারে না। দীর্ঘদিন তারা (বামপন্থী দলগুলো) যেভাবে কাজ করে আসছে—যেমন, একটা বড় ঘটনা ঘটবে, একটা মশাল মিছিল হবে কিংবা একটা মানববন্ধন হবে বা একটা স্মারকলিপি পেশ হবে এ ধরনের একটা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা কিছু আদায় করতে পারছি না। দেখা যাচ্ছে পুলিশ একটা ব্যরিকেড দিল, আমরা ভাঙলাম; দ্বিতীয় ব্যারিকেডে গিয়ে আমরা থেমে গেলাম। এই যে ফিক্সড কাঠামোগত অবস্থান, এর বাইরে গিয়ে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।
কারাগার ও রিমান্ডের ৫৩ দিন কেমন কেটেছে?
রিমান্ডে যখন ডিবি কার্যালয়ে ছিলাম, পুলিশ-প্রশাসনও বিষয়টা আমার কাছে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছে যে, আমাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি হাইকমান্ডের নির্দেশে হয়েছে। সেখানে তাদের কিছু করার ছিল না। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে আগেই পরিচয় হয়েছে। বিভিন্নভাবে আমাকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কিন্তু অন্যদের ক্ষেত্রে যেরকম নির্যাতন করার বিষয়গুলো জেনেছি, তেমনটা ঘটেনি। কারাগারে যাওয়ার পর তেমন কিছু করার ছিল না। বই পড়েছি, দাবা খেলেছি, মানুষজনের সঙ্গে মিশেছি। জেলে যারা ছিল, তাদের মাঝে করোনা সতর্কতার জন্য একটা কর্মসূচি নিয়েছিলাম।
আপনি খুলনায় চারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন। আপনি কী মনে করেন, কেন আপনাকে বারবার টার্গেট করা হয়?
আমার এ বিষয়ে ধারণা ভুল হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, ওখানকার স্থানীয় বা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা যারা আছে, তাদের বেশিরভাগই রাস্তায় ছিলেন না। বামপন্থী নেতারাও খালিশপুরকে কেন্দ্র করে শুরুতে কোনো আন্দোলন করতে চাননি। প্রথম যখন আমরা আন্দোলন শুরু করেছি তখন কেউ কেউ বিরোধিতাও করেছেন। তারা মনে করেছিলেন, ওই মুহূর্তে ওখানে যাওয়া ঠিক হবে না। কিন্তু এককভাবে যখন আমরা শুরু করলাম, শত শত শ্রমিক আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। আমরা এক জায়গায় প্রোগ্রাম ডেকে অন্য জায়গায় বাস্তবায়ন করে ফেলেছি; তখন অন্য দলগুলোর নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। আমরা কোনো সমঝোতার ধার ধারিনি। প্রশাসনের কথা শুনিনি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ভয়ে ভীত হইনি ফলে আমাদেরই বেশি টার্গেট করা হয়। প্রথমবার গ্রেপ্তার করেছে লিফলেট বিলি করতে গিয়ে, কেন পুলিশকে জানাইনি, এ ধরনের কথা বলে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি বলেই বারবার গ্রেপ্তার হতে হয়েছে।
আপনি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলে (বাসদ) যুক্ত হন। ওই সময়ই একবার বাসদ ভাঙে। আবার আপনারা বাসদ থেকে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য নাম নিয়ে আলাদা হয়েছেন। বামপন্থী দলগুলো বারবার ভাঙছেই, এভাবে কি কোনো ঐক্য হওয়া আদৌ সম্ভব?
আমাদের ঐক্য পরিষদ কোনো রাজনৈতিক দল না। সবার আন্দোলনের একটা প্লাটফর্ম। এখানে আমরা সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই। খুলনার বামপন্থী দলগুলোও একসময় আমাদের সঙ্গে ছিল। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা আর থাকেননি। হয়তো কোনো কর্মসূচি ডাকব, তারা রাজি হন না, আবার হয়ত শ্রমিকেরা অবরোধের কর্মসূচি ডেকে রাজপথে এসেছেন, তখন দেখা গেল ওই নেতারা বলছেন রাস্তা ছেড়ে দিয়ে পাশে অবস্থান কর্মসূচি করবেন। এভাবে আমরা মুখে বলছি একটা, করছি আরেকটা, এভাবে আন্দোলন হয় না। শ্রমিকরা এগুলো করে অভ্যস্তও না। তারা প্রয়োজনে জীবন দেবে; কিন্তু সে যা বলেছে সেটাই করবে, প্রয়োজনে বেশি করবে। আবার দেখা গেল একটা কর্মসূচি দেওয়ার ২০ দিন পরে আরেকটা কর্মসূচি দিলাম। এভাবে পার্টি বাঁচিয়ে রাখা যায়, কিন্তু আন্দোলন হয় না। শ্রমিক, কৃষকদের অধিকার আদায়কে গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে একটা বিপ্লবী দল গড়ে ওঠা দরকার আমাদের দলগুলো সেভাবে গড়ে উঠছে না, সেটা নিয়েই নানা ধরনের সমালোচনা করার চেষ্টা করেছি। ফলে দলীয় শৃঙ্খলা না মানার কারণে বহিষ্কার হয়েছি।
কিন্তু শুধু ভাঙাটাই তো কাজ না। একটার পর একটা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ভেঙে যাওয়াটা কোনো সমাধান না। সারা বাংলাদেশে একটা তরুণ শক্তি আছে যারা সক্রিয় কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না। যে কারণে কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনগুলো স্বতস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠেছে। সে অর্থে পার্টিগুলো ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে, ক্রমাগত জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে। পার্টির প্রতি মানুষের একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। সে জায়গা থেকে একটা সাধারণ প্লাটফর্ম গড়ার চেষ্টা করেছি যেটা মানুষের মধ্যে একটা আশাবাদ তৈরি করতে পারে। দলীয় ভাঙনগুলো অবশ্যই ক্ষতিকর, কিন্তু সেটা যদি চূড়ান্ত অর্থে সমাজের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য নতুন বিন্যাসে গড়ে ওঠে, সেটা ক্ষতিকর না।
আমাদের বামপন্থী দলগুলো আশির দশক পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কারণ সে সময় তারা কৃষক-শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করত। কিন্তু দলগুলো সে জায়গা থেকে সরে গিয়ে শুধু জেলা শহরগুলোতে বা ঢাকাকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। ঢাকায়ও শুধু পল্টন-প্রেসক্লাব আর শাহবাগকেন্দ্রিক আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণকে মুক্তির পথ দেখানোর সুযোগ নেই।
আপনারা সেই পথ দেখাতে পারবেন?
সেটা মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। আমরা চেষ্টা করছি প্রধানত বাংলাদেশের শ্রমিক-কৃষক ও মধ্যবিত্তের সংকটগুলো নিয়ে কাজ করতে। তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে সাধারণ প্লাটফর্মে যদি কাজ করা হয়, এই পদ্ধতিতে যদি কাজ করা হয়, আমরা মনে করি তাতে জনগণের আস্থার জায়গাটা বাড়তে পারে।
যে আইনে আপনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটাকে কীভাবে দেখেন?
এই আইনে যে ধারাগুলো আছে, তার মধ্যে পজেটিভ দিকও আছে। যেমন, কারো ব্যক্তিগত কথোপকথন, ভিডিও ইত্যাদি দিয়ে অনেক সময় ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা ঘটে। সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা তো পজেটিভ। কিন্তু আইনটি যতটা না ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ব্যবহার করছে রাষ্ট্র তার নিজের প্রয়োজনে। দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতিবাজরা কোনো ঘটনা ঘটালে সেটার বিপরীতে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং যারা তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বলছে; কিংবা কোনো সাংবাদিক লিখছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটা ব্যবহার করা হচ্ছে। রাষ্ট্র মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য আইন ব্যবহার করছে। ১০০ ভাগের ৯৯ ভাগই অপব্যবহার হচ্ছে। তাই আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই।
আরও পড়ুন:
সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা রুহুল আমিন
রাতে তুলে নেওয়া এক বাম নেতাকে সকালে গ্রেপ্তার দেখালো পুলিশ
খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনের জামিন নামঞ্জুর
খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর
Comments