দারুণ সেঞ্চুরিতে অভিষেকেই লর্ডসের অনার্স বোর্ডে কনওয়ে
টি-টোয়েন্টির অভিষেকে করেছিলেন ৪১, পরের ম্যাচে ফিফটি। ওয়ানডের অভিষেকে ২৭ রানের পরের দুই ইনিংস ৭২ ও ১২৬। ডেভন কনওয়ের টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা হলো আরও আলোয় রাঙা। ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে অভিজাত সংস্করণে নিজের প্রথম ইনিংসেই স্পর্শ করলেন তিন অঙ্ক। নাম উঠল বিখ্যাত অনার্স বোর্ডে।
কনওয়ের বর্ণিল অভিষেকে দিনটাও নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে তারা করেছে ৩ উইকেটে ২৪৬ রান। ১৩৬ রান নিয়ে খেলছেন কনওয়ে, ৪৬ রান করে তার সঙ্গী হেনরি নিকোলস।
কনওয়ের আগে অভিষেকে সেঞ্চুরি করে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম তুলেছেন আর কেবল পাঁচজন। প্রথম নজির অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি গ্রাহামের। সেই ১৮৯৩ সালে লর্ডসের অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এর ৭৬ বছর পর ১৯৬৯ সালে ক্রিকেট তীর্থে সেঞ্চুরি করে অনার্স বোর্ডে নাম উঠে ইংল্যান্ডের জন হ্যামশায়ারের। আরও ২৭ বছর পর একই কীর্তি গড়া লোকটি এদের সবার মধ্যে বিখ্যাত। ১৯৯৬ সালে নিজের অভিষেকে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আলোচিত সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এরপর ২০০৪ সালে অ্যান্ড্রু স্ট্রস নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে অভিষেকে পান সেঞ্চুরি। পরেরজনও ইংলিশ। কিপার ব্যাটসম্যান ম্যাট প্রিয়র ২০০৭ সালে গড়েছেন এই কীর্তি। ১৪ বছর পর এই জায়গায় বসলেন কনওয়ে। তবে এরমধ্যে এদের সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন কনওয়ে। লর্ডসের অভিষেকে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি এখন তারই।
বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নামে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। অভিষিক্ত কনওয়েই টম ল্যাথামের সঙ্গে নামেন ইনিংস ওপেন করতে। দুজনের উদ্বোধনী জুটি জমেও যায় বেশ।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলের ৫৮ রানে এই জুটি ভাঙ্গেন আরেক অভিষিক্ত। ইংল্যান্ডের হয়ে এদিন টেস্ট ক্যাপ পান দুজন। কিপার ব্যাটসম্যান জেমস ব্রেসির সঙ্গে অভিষেক হয় পেসার ওলি রবিনসনের। দারুণ এই স্যুয়িং বোলারের শিকার ল্যাথাম। ৫৭ বলে ২৩ রান করে তার বলে বোল্ড হন এই বাঁহাতি।
তিনে নামা অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ বলে ১৩ রান করা কিউই অধিনায়ককে বোল্ড করে দেন ১৬১ টেস্ট খেলতে নামা জেমস অ্যান্ডারসন। অভিজ্ঞ রস টেইলরও থিতু হওয়ার আগেই বিদায়। তাকেও ফেরান দিনে ইংল্যান্ডের সফল বোলার রবিনসন। রবিনসনের স্যুয়িংয়ে কাবু টেইলর হয়েছেন এলবিডব্লিউ।
এরপর আর বিপর্যয় নয়। নিকোলসকে নিয়ে বড় জুটি পেয়ে যান কনওয়ে। পরিণত মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো শট বের হয় তার ঝুলি থেকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই ঝলক দেখানো এই বাঁহাতি ১৬ চারে সাজিয়েছেন তার প্রথম সেঞ্চুরি।
দারুণ সঙ্গত করে ফিফটির কাছে চলে গেছেন নিকোলস। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটিতে এসে গেছে ১৩২ রান। দ্বিতীয় দিনে বিশাল একটি পুঁজির দিকেই ছুটে যাওয়ার বড় সুযোগ তাদের সামনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৮৬ ওভারে ২৪৬/৩ ( ল্যাথাম ২৩, কনওয়ে ১৩৬*, উইলিয়ামস ১৩, টেইলর ১৪, নিকোলস ৪৬ ; অ্যান্ডারসন ১/৫৫, ব্রড ০/৪২, রবিনসন ২/৫০, উড ০/৪৯, রুট ০/৩৭)
Comments