রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে দ্যুতিময় কনওয়ে

বৃহস্পতিবার লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৩৭৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। যার ২০০ রানই এসেছে কনওয়ের ব্যাটে।
Devon Conway
ছবি: টুইটার

লর্ডসে অভিষেকে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলে ইতিহাসে ঢুকে গিয়েছিলেন আগের দিনই। ডেভন কনওয়ে বর্ণিল অভিষেকে দ্বিতীয় দিনে ইতিহাস করলেন সমৃদ্ধ। টেস্ট অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি তার আগে ছিল আর ছয়জনের। তবে ইংল্যান্ডের মাঠে এই কীর্তি করে দেখালেন প্রথমবার। তার এমন দ্যুতিময় ইনিংসের পর পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইংল্যান্ডও।

বৃহস্পতিবার লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৩৭৮ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। যার ২০০ রানই এসেছে কনওয়ের ব্যাটে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনশেষে ২ উইকেটে ১১১ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।  ররি বার্নস ৫৯ এবং অধিনায়ক জো রুট ৪২ রান নিয়ে খেলছেন।

প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের পুরো আলো কেড়ে নেন কনওয়েই। তবে একদিকে আসা-যাওয়ার মিছিলে ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ায় তার ডাবল সেঞ্চুরি পড়ে গিয়েছিল শঙ্কায়। নেইল ওয়েগনারকে নিয়ে পরে দ্রুত এগিয়ে যান সে পথে। মার্ক উডের শর্ট বলে পুল করে ছক্কা মেরে স্পর্শ করেন ম্যাজিক ফিগার। ১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই নজির তার। 

ইংল্যান্ডের মাঠ হিসেব করলে তিনিই প্রথম। অভিষেকে ইংল্যান্ডের মাঠে এর আগে সেরা ইনিংস ছিল রণজিৎ সিংজির। ১৮৯৬ সালে ম্যানচেস্টার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫৪ রান করেছিলেন ভারতে জন্ম নিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা রণজিৎ।

ওপেন করতে নেমে অপরাজিত থেকে ‘ক্যারিং দা ব্যাট থ্রু আ কমপ্লিটেড ইনিংস’-এ চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে নাম লেখানোরও সুযোগ ছিল। রান আউটে কাটা পটে সেটা হয়নি। তাতেও একটি বিরল রেকর্ডে নাম উঠেছে। সেটা অবশ্য অস্বস্তির। টেস্ট অভিষেকে এর আগে সেঞ্চুরির ইনিংস আছে ১১১টি। তারমধ্যে কেবল একটিই শেষ হয় রান আউটে। ১৯৫৯ সালে ভারতের আব্বাস আলি বেগ অভিষেকে ১১২ রান করে রান আউট হয়েছিলেন।

আগের দিনের ১৩৬ রান নিয়ে নেমে একই মেজাজে খেলতে থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। হেনরি নিকোলসের সঙ্গে তার জুটিও বড় হচ্ছিল। আঁটসাঁট ব্যাট করে নিকোলস পেরিয়ে যান ফিফটি।

১৭৪ রানের জুটি ভাঙ্গে নিকোলসের আউটে। উডের বলে রবিনসনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেছেন ১৭৫ বলে ৬১ রান।

এরপরই ধস নামে কিউই ইনিংসে। দ্রুত ফিরে যান বিজে ওয়েটলিং, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্ট্যান্টনাররা। ছোট এক জুটির পর ফেরেন কাইল জেমিসন। টিম সাউদিও বেশক্ষণ কনওয়েকে সঙ্গ দিতে পারেননি।

শেষ উইকেটে অবশ্য ওয়েগনার খেলেছেন দারুণ। আগ্রাসী মেজাজে খেলে কনওয়ের সঙ্গে ৪০ রান আনেন তিনি। ২১ বলে ২৫ করে অপরাজিত ছিলেন ওয়েগনার।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ৯৩ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন বার্নস-রুট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

(দ্বিতীয় দিন শেষে)

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস:  ( ল্যাথাম ২৩, কনওয়ে ২০০, উইলিয়ামস ১৩, টেইলর ১৪, নিকোলস ৬১, ওয়েটলিং ১, গ্র্যান্ডহোম ০, স্ট্যান্টনার ০, জেমিসন ০, সাউদি ৮, ওয়েগনার ২৫*  ; অ্যান্ডারসন ২/৮৩, ব্রড ০/৭৯, রবিনসন ৪/৭৫, উড ৩/৮১, রুট ০/৩৮)

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস:  ৪৩ ওভারে ১১১/২ (বার্নস ৫৯*, সিবলি ০, ক্রলি ২, রুট ৪২*; সাউদি ১/১৭, জেমিসন ১/২৯, গ্র্যান্ডহোম ০/১২, ওয়েগনার ০/৩৬, স্ট্যান্টনার ০/১৪)

 

 

 

 

 

 

 

Comments