মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, জহুরুলের ফিফটি
মন্থর উইকেটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ইনিংস চেপে ধরেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। তবে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করে লড়াইয়ের পুঁজি পাইয়ে দিয়েছিলেন আল-আমিন জুনিয়র। সেই পুঁজি টপকাতে ব্যাট হাতেও অবদান মিরাজের। তার সঙ্গে জহুরুল ইসলাম অমিও ফিফটি করায় সহজে জিতেছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে রূপগঞ্জের বিপক্ষে একপেশে লড়াইয়ে ৭ উইকেটে জিতে খেলাঘর। আগে ব্যাট করে রূপগঞ্জ করেছিল ১৩৮। ওই রান ৩ বল আগেই টপকে যায় খেলাঘর।
বোলিংয়ে ২০ রানে ১ উইকেট নেওয়া মিরাজ রান তাড়ায় করেন ৪৫ বলে ৫৪ রান। ৪৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন জহুরুল।
১৩৯ রান তাড়ায় ২৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসেছিল খেলাঘর। এরপর জহুরুল-মিরাজ গড়েন ম্যাচ জেতানো জুটি। তৃতীয় উইকেটে তারা আনেন ৯৭ রান। ৫৪ করে মুক্তার আলির বলে মিরাজ যখন ফিরছিলেন দলের জয় তখন একদম নাগালে।
সালমান হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই করেছেন ফিফটি করা অধিনায়ক জহুরুল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে বিপদে পড়ে রূপগঞ্জ। রান করতে ধুঁকছিলেন তাদের ব্যাটসম্যানরা। পড়ছিল উইকেটও। ৪৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাব্বির রহমানকে নিয়ে জুটি গড়েন আল-আমিন। ৫৫ রানের জুটি এলেও রান আসেনি প্রত্যাশিত গতিতে।
২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন সাব্বির। ৪২ বলে ৫১ করে একদম শেষ ওভারে গিয়ে থামেন আল-আমিন। তবে দেড়শো পেরুতে না পারায় জেতার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি তারা।
এই নিয়ে তিন ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল খেলাঘর। তিন ম্যাচ থেকে বৃষ্টিতে পাওয়া কেবল এক পয়েন্ট থাকল রূপগঞ্জের।
Comments