সরকারের কাছে নতুন দরিদ্রদের পূর্ণাঙ্গ হিসাব নেই: অর্থমন্ত্রী

করোনা মহামারির প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হওয়া ও দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাওয়া জনগোষ্ঠীর পূর্ণাঙ্গ কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি

করোনা মহামারির প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হওয়া ও দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাওয়া জনগোষ্ঠীর পূর্ণাঙ্গ কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ শুক্রবার বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেছেন, ‘পূর্ণাঙ্গ হিসাব পেলে এসব মানুষের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে কোভিডের প্রভাবে নতুন করে দরিদ্র হওয়া ও দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাওয়া জনগোষ্ঠী নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে বিআইডিএস (বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান) কিছু কাজ করেছে। সম্ভবত তাদের হিসাবে এই হার ২৬ শতাংশ। আমরা এখনো এটার পূর্ণ মাত্রার হিসাব পাইনি। বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) এটা নিয়ে কাজ করছে। বিবিএস যখন করবে তখন আমরা এটা নিয়ে কাজ করব।’

এ ছাড়া, কর ছাড় দেওয়ায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে কোনো চাপ তৈরি হবে কি না - এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, যারা করদাতা তাদের যদি আমরা এই অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, কর হার কমালে আদায়ের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়বে।’

এ বিষয়ে মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘মানুষের চাহিদায় পরিবর্তন হয়। ব্যবসায়ীদের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আসে। সুতরাং বাজেটে যা দিয়েছি সেটা ফিক্সড রাখা যাবে না।’

এদিকে কর্মসংস্থান তৈরির জন্য বেসরকারি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থান তৈরির জন্য প্রাইভেট সেক্টরকে আমাদের পুরো ইকোনমিক সিস্টেমের ড্রাইভিং সিটে বসাতে হবে। আমাদের সহায়তা দিতে হবে তাদের বসার জন্য। তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।’

সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট হিসেবেও অভিহিত করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘এই বাজেট ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট। তাদের সুযোগ দেওয়া হলে তারাই কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। যেখানেই সম্ভাবনা আছে, সেই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে আমরা প্রস্তুত। বাজেটে যা আছে সেটাই চূড়ান্ত নয়, আমরা কিছুটা নমনীয় থাকবো। আমরা রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াবো এবং ট্যাক্স, ভ্যাট কমাবো।’

আরও পড়ুন:

দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বিবিএস থেকে নেব, এনজিও থেকে নয়: অর্থমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

11h ago