মৌলভীবাজার

অবশেষে অবৈধ দখলমুক্ত হলো বনাখলা পান জুম

পান জুম দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহ পর অবৈধ দখলমুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বনাখলা পান জুম। এতে স্বস্তি ফিরেছে গারো খাসিয়াদের মধ্যে।

আজ শুক্রবার দিনব্যাপী প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পান পুঞ্জি অবৈধ দখলমুক্ত করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী।

খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী কিছু দিন ধরে জুমের জায়গা দখল করে রেখেছিল। উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে অবৈধ দখলকারীদের সমূলে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরপর খাসিয়াদের তাদের পান জুমের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর বলেন, ‘গত শুক্রবার (২৮ মে) সকালে বনাখলা পুঞ্জির জুম দখল করে স্থানীয় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুঞ্জিবাসীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর জুম দখল করে সেখানে তারা কয়েকটি ঘরও নির্মাণ করে পুঞ্জিবাসীদের তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় গত রোববার (৩০ মে) পুঞ্জির মান্ত্রী নরা ধার ও ছোটলেখা বাগানের প্রধান টিলা করণিক মো. দেওয়ান মাসুদ থানায় পৃথকভাবে দুটি মামলা করেন।’

তিনি জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও তাদের অধিকার রক্ষায় বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বনাখালা পুঞ্জির মান্ত্রী নরা ধার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞ, উদ্ধার অভিযানের পরও আমাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে। কিন্তু, পুলিশের আশ্বাসে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি।’

উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সাজু মারছিয়াং।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পুঞ্জির লোকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। কিন্তু, উদ্ধার অভিযানের পর স্বস্তি এসেছে।’

উচ্ছেদ অভিযানে আরও ছিলেন- বড়লেখা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূসরাত লায়লা নীরা, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ প্রমুখ।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

2h ago