২০২৩ সাল পর্যন্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন না ট্রাম্প

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক জানিয়েছে, তারা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি দুই বছরের জন্য স্থগিত করছে। ফলে, ২০২৩ সালের শুরু পর্যন্ত নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন না ট্রাম্প।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স ফাইল ফটো

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক জানিয়েছে, তারা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি দুই বছরের জন্য স্থগিত করছে। ফলে, ২০২৩ সালের শুরু পর্যন্ত নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন না ট্রাম্প।

শুক্রবার ফেসবুকের বৈশ্বিক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, ‘এই সময়ের শেষে আমরা জননিরাপত্তার ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে কিনা তা মূল্যায়ন করতে বিশেষজ্ঞদের দিকে তাকিয়ে থাকব। আমরা বাহ্যিক কারণগুলো মূল্যায়ন করব। যার মধ্যে আছে- সহিংসতার ঘটনা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং নাগরিক অস্থিরতা।’

শুক্রবার এপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এপি জানায়, দুই বছরের স্থগিতাদেশ গত ৭ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে, তাই ট্রাম্পের স্থগিতাদেশ শেষ হতে এখনো ১৯ মাস বাকি আছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুকের এমন সিদ্ধান্তকে ‘অপমানজনক’ হিসেব অভিহিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তাদের এই সেন্সরিং নীতি এবং নীরবতা থেকে পার পেতে দেওয়া উচিত নয়। শেষ পর্যন্ত আমরা জিতব। আমাদের দেশ এই অপব্যবহার আর নিতে পারছে না!।’

ফেসবুক এবং টুইটারের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলো রাজনীতিবিদদের বার্তা প্রকাশ এবং স্বল্প ডলারের অনুদানের জন্য অপরিহার্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

যদিও ট্রাম্প এখনো জানাননি, তিনি ২০২৪ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছেন কিনা। কিন্তু, তিনি বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতি পার করছেন। তারই প্রমাণ হলো- চলতি বছরে তিনি ধুমধাম করে যে ব্লগটি চালু করেছিলেন তা এক মাসেরও কম সময় পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি স্থগিতের অর্থ হলো তার অ্যাকাউন্টটি মূলত ফেসবুকের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। অন্যরা তার পুরনো পোস্টগুলো পড়তে এবং মন্তব্য করতে পারবেন। কিন্তু, ট্রাম্প এবং অন্যান্য অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডলাররা নতুন কিছু পোস্ট করতে পারবেন না। অন্যদিকে টুইটার ট্রাম্পকে তাদের সেবা থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং তার অ্যাকাউন্টটির কোনো চিহ্ন নেই।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago