নেইমার-রিচার্লিসনের লক্ষ্যভেদে ব্রাজিলের পাঁচে পাঁচ
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ব্রাজিল। লম্বা সময় পর্যন্ত তাদের আটকে রেখেছিল ইকুয়েডর। কিন্তু পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া হলো না সফরকারীদের। রিচার্লিসন ও নেইমারের লক্ষ্যভেদে শেষ হাসি হাসল স্বাগতিক সেলেসাওরা।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকালে পোর্তো আলেগ্রের স্তাদিও রিও-বেইরাতে ইকুয়েডরকে ২-০ ব্যবধানে হারাল তিতের শিষ্যরা। দুটি গোলই হয় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
১৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল আছে তালিকার শীর্ষে। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা সমান ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুইয়ে। তিনে থাকা ইকুয়েডরের অর্জন ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট। সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে প্যারাগুয়ে চারে, উরুগুয়ে পাঁচে ও কলম্বিয়া ছয়ে অবস্থান করছে।
নিজেদের মাঠে পুরো ম্যাচে চালকের আসনে ছিল ব্রাজিল। বল দখলে ও আক্রমণে প্রাধান্য দেখায় তারা। প্রতিপক্ষের গোলমুখে তারা শট নেয় ১৬টি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল সাতটি। অন্যদিকে, ইকুয়েডরের তিনটি শটের একটিও ছিল না লক্ষ্যে। ফলে গোলপোস্টে প্রায় অলস সময় কাটাতে হয় ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসনকে।
শুরুতে খেলার গতি ছিল বেশ মন্থর। বল পায়ে রাখলেও গুছিয়ে আক্রমণে উঠতে অনেক সময় নেয় ব্রাজিল। ম্যাচের শেষ আধা ঘণ্টায় আক্রমণে গতি বাড়ায় তারা। বিপরীতে, বলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেনি ইকুয়েডর।
২০তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। তবে পিএসজি তারকা নেইমারের ফ্রি-কিকে ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে পারেননি রিচার্লিসন। তিন মিনিট পর আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল বারবোসার কোণাকুণি শট বেরিয়ে এসে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক আলেক্সান্দার দমিঙ্গেজ।
৪১তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে দানিলোর ক্রসে আলতো টোকায় জাল খুঁজে নেন বারবোসা। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়। বিরতির পর ৪৮তম ও ৫১তম মিনিটে পেনাল্টির দাবি তোলে ব্রাজিল। তবে রেফারি তাতে কান দেননি।
৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমার ডি-বক্সের ভেতরে খুঁজে নেন এভারটনের ফরোয়ার্ড রিচার্লিসনকে। বাঁ পায়ের জোরালো বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। দমিঙ্গেজ হাত ছোঁয়ালেও বল ফেরাতে পারেননি।
সাত মিনিট পর প্রায় একই রকম কোণ থেকে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের শট আটকে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক। পরের মিনিটে বারবোসা তাকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি। চার মিনিট পর ফের হতাশ করেন ফ্লামেঙ্গোর এই ফরোয়ার্ড। বাইলাইনের কাছ থেকে রিচার্লিসনের ক্রসে ফাঁকা জালে হেড লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
শেষদিকে ডি-বক্সে জেসুস ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যোগ করা সময়ে নেইমারের দুর্বল স্পট-কিক অনায়াসে রুখে দেন দমিঙ্গেজ। কিন্তু শট নেওয়ার আগেই তিনি লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। ফলে আবার সুযোগ পায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয় দফায় কোনো ভুল করেননি নেইমার। গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ডান দিকের জাল খুঁজে নেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ২৯ বছর বয়সী তারকার এটি ৬৫তম গোল।
Comments