কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে তিস্তার ১০ পয়েন্টে ভাঙন
কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার চারটি ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ১০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী গর্ভে প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদি জমি। সম্পদ রক্ষায় অনেকে বাড়ি-ঘর ভেঙে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন।
দুই জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ও রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন এবং লালমনিরহাটের সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন বেড়েই চলেছে।
উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন ডেইলি স্টারকে জানান, গত কয়েক দিনে তার ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বসতভিটা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, একটি সড়কের কিছু অংশ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকিতে রয়েছে আরও অনেক স্থাপনা ও আবাদি জমি।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি উজানের পানিতে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে যায়। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিয়নের চারটি জায়গায় ভাঙন তীব্র আকার নেয়।’
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, তিনি নিজেও ভাঙন কবলিত কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছেন।
রুমি ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সম্পদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ভাঙন কবলিতদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।’
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, শিগগির সবচেয়ে নাজুক জায়গাগুলোতে ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করবেন তারা।
Comments