মোস্তাফিজের ৫ উইকেট ম্লান করে জিতল মোহামেডান

Tamim Iqbal
২০ রান করে আউট হয়ে ফিরছেন তামিম ইকবাল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মন্থর উইকেট পেয়ে দারুণ জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিলেন ৫ উইকেট। পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটির পর বড় রানের দিকে ছুটতে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের রাশও টেনে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু রান তাড়ায় কুলিয়ে উঠতে পারল না তার দল।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শনিবার রাতে সাকিব আল হাসানের মোহামেডান ২৭ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে।

মোহামেডানের করা ১৫০ রানের জবাবে ১২৩ পর্যন্ত যেতে পেরেছে প্রাইমের ইনিংস। এই নিয়ে টানা তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে মোহামেডান। রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড। সমান ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক পেয়েছে প্রথম হারের স্বাদ।

২২ রানে ৫ উইকেট নিয়েও পরাজিত দলে থাকলেন মোস্তাফিজ। এই ম্যাচেও রান পাননি সাকিব (১৫ বলে ২০)। তবে বলে হাতে ২ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে রেখেছেন অবদান। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান পাননি তামিমও। ২০ বলে ২০ করেছেন তিনি।

১৫১ রান তাড়ায় অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়কে শুরুতেই হারায় প্রাইম। তাসকিন আহমেদের বলে মিড অফে ৫ বলে মাত্র ৩ রান করে ক্যাচ দেন তিনি।

রনি তালুকদার নেমেই মারছিলেন, তামিম ছিলেন স্থিতধী। শুভাগত হোম এসে অফ স্পিনে খোলসবন্দি তামিমকে ফেরালে আশা নিভু নিভু হয়ে যায় প্রাইমের। রনিও পরে টাইমিং করতে না পেরে হয়ে যান ধীর। নবম ওভারে তাকে বোল্ড করার পর অলক কাপালিকেও স্লিপে আউট করে প্রাইমের কোমর ভেঙে দেন সাকিব।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুন কিছুটা ঝাঁজ দেখিয়েছিলেন। তবে বেশি দূর বাড়তে পারেননি। ১৮ বলে ২৫ করা মিঠুনকে ফেরান আবু জায়েদ রাহি। এরপর খেলা শেষ হতে বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। নাঈম হাসান, মনির হোসেনরা কেবল ব্যবধানই কমান পরে। ইনিংস মুড়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন পেসার তাসকিন। 

Mustafizur Rahman

ভেজা আবহাওয়ায় টস জিতে ব্যাট করতে যাওয়া মোহামেডানকে ভালো শুরু পাইয়ে দেন পারভেজ। মাহমুদুল হাসান লিমনকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে আনেন ৪০ রান। এরপর শামসুর রহমানের সঙ্গে আরেক জুটি পান পারভেজ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পাওয়ার প্লের পর কিছুটা শ্লথ হয়ে গিয়েছিলেন। সেটা পুষিয়ে দিতে পরে খেলেন বড় বড় শট।

তবে ফিফটির পর আর এগুতে পারেননি তিনি। ৩৮ বলে ৫০ রান করে ক্যাচ দেন কাপালির বলে। তিনে নামা শামসুর রহমান সময়ের সঙ্গে হয়ে যান মন্থর। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি এলেও রান আসছিল না প্রত্যাশিত গতিতে। চারে নেমে সাকিব এদিনও ব্যর্থ। ১৭ রানে একবার জীবন পাওয়ার পর তা কাজে লাগাতে পারেননি।

parvez hossain emon

তারকা অলরাউন্ডার সাকিব স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন মোস্তাফিজের বলে। তাকে আউট করে উইকেট নেওয়া শুরু বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজের। একে একে শুভাগত হোম, শামসুর, আবু হায়দার রনি ও তাসকিনকে আউট করে নিজের শেষ দুই ওভারেই তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট।

উড়তে থাকা মোহামেডান শেষ ৫ ওভারে আনতে পারে মোটে ৩৫ রান। তারা হারায় ৬ উইকেট। তবে ওই পুঁজিই পরে হয়েছে যথেষ্ট।

Comments

The Daily Star  | English

At least 204 bodies recovered from plane crash site: police

It’s the first Dreamliner crash since its 2011 commercial debut, says Aviation Safety Network

6h ago