‘বাংলাদেশে টিকা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ হচ্ছে’
বাংলাদেশ টিকা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন। আজ রোববার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
রোবেদ আমিন বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধামন্ত্রী বলেছেন, আমরা নিজেরাও টিকা তৈরি করতে চাই। এ প্রসঙ্গে বেশ কিছু কাজ সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে টিকা তৈরি করা হবে এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যে কোনো সময় আলোচনায় আসতে পারবো।’
টিকাদান কর্মসূচির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন মানুষ প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যেটি ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল। ৪২ লাখ তিন হাজার ১১৪ জন মানুষকে আমরা দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। সিনোফার্ম আমাদের উপহার হিসেবে যে টিকা দিয়েছিল, সেখান থেকে দুই হাজার ১৬২ জনকে আমরা টিকা দিতে পেরেছি। সিনোফার্ম ছয় লাখ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিচ্ছে। আমাদের ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট যাদের পরীক্ষা সমাগত তাদের জন্য এই টিকাটি বরাদ্দ করা হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
‘এ ছাড়া, চুক্তি হলে আরও অসংখ্যা টিকা পেতে আমরা সক্ষম হবো। আজ আমাদের ঔষধ প্রশাসন জরুরি ব্যবহরে সিনোভ্যাকের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। ফাইজারের টিকাও বাংলাদেশে চলে এসেছে। এটি মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে ফাইজারের টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি না। কোথায় কাদের এই টিকা দেওয়া হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাশিয়া থেকে যে ভ্যাকসিন সেটিও আমাদের আলোচনার মধ্যে আছে। এসব সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে আমরা আশা করছি, টিকা নিয়ে নিরাশ হওয়ার কিছু থাকবে না। সকলকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে’— বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র।
Comments