রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ

রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৫ জনের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করে ২২২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ। গতকাল এ জেলায় শনাক্তের হার ছিল ৪৬ শতাংশ।

তবে স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় ১৪ দলের সুপারিশ স্বত্বেও রাজশাহীতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়নি। চলমান রাত্রীকালীন বিধিনিষেধ দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে বিকেল ৫টা থেকে করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে আজ রবিবার দুপুরে রাজশাহী জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর, ডিআইজি আব্দুল বাতেন, নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৪ দলের রাজনৈতিক নেতারা।

রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বিকেলে সভার পর সাংবাদিকদের জানান, ‘রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান আতঙ্কজনক দেখা গেলেও মানুষের জীবিকার কথা চিন্তা করে আমরা এই মুহূর্তে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে বিকল্প হিসেবে বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে এবং বিধিনিষেধগুলো সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কি না সেটাও নজরদারী করা হবে। এছাড়া,শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে করোনা পরীক্ষা করা হবে। করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করে তারা যাতে শহরে ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনটাও আমাদের বাঁচাতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকার আমের ব্যবসা চলছে। সেখানে সাধারণ মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে। আমরা বিকল্প উপায়ে আরও এক সপ্তাহ দেখতে চাই। তারপরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন না হলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত না নেওয়া ছাড়া আমাদের অন্য কিছু করার থাকবে না।’

এদিকে সকাল ১০টায় নগরীর সাহেব বাজার, লক্ষ্মীপুর মোড়, সি অ্যান্ড বি মোড়, হড়গ্রাম বাজার ও তালাইমারীতে দ্রুততম সময়ের এ করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়।

এ সময় স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে সাত থেকে ১০ মিনিটে পরীক্ষা করে ফলাফল দেওয়া হয়।

রাজশাহী নগরীর পাঁচটি স্থানে বিশেষ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে মোট ২৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেগুলোর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২৭ জন। সংক্রমণের হার ছিল ৯ শতাংশ।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরটিপিসিআর নমুনায় ৩৬৬ জনের মধ্যে শনাক্ত হয় ১৮৪ জন এবং শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ১৬১টি নমুনায় শনাক্ত হয় ২৮ জন এবং শনাক্তের হার ছিল ১৭ শতাংশ। ২৮টি জিন এক্সপার্ট নমুনায় শনাক্ত হয় ১০টি, শনাক্তের হার ছিল ৩৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন-

রাজশাহীতে ভ্রাম্যমাণ করোনা পরীক্ষা