প্রকাশিত হয়েছে ‘তারুণ্যের আবুল মনসুর আহমদ’
প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের জীবন ও কর্মকে বিশ্লেষণ করেছেন সমকালের তরুণরা। তাদের এমন ৩০টি রচনা নিয়ে সংকলিত বই ‘তারুণ্যের আবুল মনসুর আহমদ’ প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে বই পড়ুয়াদের মধ্যে আবুল মনসুর আহমদের চিন্তাকে আরও ছড়িয়ে দিতে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ও বুক রিভিউয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাশাপাশি সেমিনার, আলোচনা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে স্মৃতি পরিষদ ‘আবুল মনসুর আহমদের প্রাসঙ্গিকতা’র বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
গত দুই বছরের প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ও বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার নির্বাচিত লেখা নিয়ে এ সংকলন। সম্পাদনা করেছেন ইমরান মাহফুজ। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন খালিদ মোহাম্মদ। প্রকাশ করেছে আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ। পরিবেশক ডেইলি স্টার বুকস। বইটি ডেইলি স্টার সেন্টার, ৬৪-৬৫ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা ১২১৫-সহ রকমারিতে পাওয়া যাবে। বইয়ের পৃষ্ঠা ১৬০। মূল্য ২৫০ টাকা।
২০১৯ সালে ‘আবুল মনসুর আহমদের সাহিত্যে সমাজের ধর্মান্ধতা ও শ্রেণী চরিত্র’ শিরোনামে লেখেন মো. হাসিবুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম ও সীমা রানী আর্য্য। ‘আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার প্রেক্ষাপট ও প্রগতিশীলতা’ শিরোনামে লেখেন ইয়াসমিন আক্তার, রাসেল আহমেদ ও মো. এমদাদ উল্লাহ। ‘রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদের রাষ্ট্রচিন্তা ও আজকের বাংলাদেশ’ শিরোনামে লেখেন মুহাম্মদ আলী তালহা, শহিদুল ইসলাম ও মো. ইমাম মেহেদী।
২০২০ সালে ‘আবুল মনসুর আহমদ রাষ্ট্রভাবনা ও জাতীয়তাবাদী চিন্তার স্বরূপ’ শিরোনামে লেখেন জুবায়ের শাওন, নেওয়াজ ফেরদৌস রচি ও গাজী আবদুর রহিম। ‘সমাজ সংস্কারে আবুল মনসুর আহমদের ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিকতা’ শিরোনামে লেখেন বঙ্গ রাখাল, শিরীন সুলতানা ও মো. বিল্লাল হোসেন। ‘আবুল মনসুর আহমদের ছোটগল্পে প্রথাবিরোধী চিন্তার ধারা’ শিরোনামে লেখেন বিনয় দত্ত, ইফরাত জাহান ও সালাহ উদ্দিন মাহমুদ।
২০২০ সালের বুক রিভিউ প্রতিযোগিতায় লেখেন আবু সাঈদ নয়ন, মোহাম্মদ রায়হান কাদেরী, আনিস রহমান, জাহিদ হাসান ও রাশিদা পিউ।
২০২১ সালে ‘শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে লেখেন যুল আইনাইন ইবনে নোমান, সুমন ইসলাম, আরাফাত শাহীন। ‘বাংলাদেশের কালচার’ শিরোনামে লেখেন শানিন হক, ফরিদ উদ্দিন রনি ও আবু তালহা।
এ বিষয়ে বইটির সম্পাদক ইমরান মাহফুজ বলেন, ‘নির্বাচিতদের লেখা নিয়ে সাজানো হয়েছে “তারুণ্যের আবুল মনসুর আহমদ” বইটি। তবে, এখানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যারা হয়েছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- এটা ঠিক মেধা যাচাইয়ের যথার্থ মানদণ্ড নয়, স্মৃতি পরিষদের উৎসাহ মাত্র। আশা রাখি, এই প্রেরণায় সৃজনশীল পথে অগ্রগামী হবেন তরুণরা।’
Comments