প্রবাসে

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের জন্যে ৫০টি শিক্ষা-বৃত্তির সুযোগ

মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ও আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান শাইখুল আযহার আল শরিফ আহমাদ আত তায়্যিবের সঙ্গে মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাসের সৌজন্যে

মিশরের বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছর থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০টি শিক্ষা-বৃত্তি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করতে ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য ক্যাম্পাসে নিজস্ব জমি বরাদ্দের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানী কায়রোতে মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ও আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান আল-ইমামুল আকবার শাইখুল আযহার আল শরিফ আহমাদ আত তায়্যিবের সঙ্গে মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলামের বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

দীর্ঘ বৈঠকে উভয়পক্ষ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি কোটা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান তা ১৫ থেকে ৫০ জনে বাড়ানোর অনুমোদন দেন।

রাষ্ট্রদূতের অনুরোধে জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্যে নিজস্ব জমি বরাদ্দের অনুমোদন দেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বাংলা ভাষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বাংলা ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার আবেদন করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।

করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ইমাম প্রশিক্ষণ, ইসলামী স্কলার ও শিক্ষা বিভাগ থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি সফর বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত।

অন্যদিকে, আল-আজহারের আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশে আল-আজহার ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানিয়েছেন মিসরের এই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।

শাইখুল আযহার আল শরিফ আহমাদ বলেন, ‘আল-আজহার ইসলামের উদার আদর্শকে প্রচার করে, ভ্রান্ত চিন্তা-দর্শনকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে, সমস্ত ধর্মে স্বীকৃত শান্তির বাণী প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।’

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামের আমন্ত্রণে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতিকে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মূল্যায়ন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীরা মেধা-মনন বিকাশ ও সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ইসলামের সঠিক দাওয়াত প্রচারের জন্য নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলেন। নিজ দেশে ফিরে গিয়ে তারা ইসলামী চিন্তা প্রচার ও প্রসারে নিবেদিত হন।’

বিশ্বে আরবি সাহিত্যের ও ইসলামী শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০ শতাংশ বিদেশি।

সেখানে প্রায় ১০২টি দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪০০-র মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। পাঁচ হাজার ১৫৫টি শ্রেণিকক্ষের বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষক আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago